এনআইবিতে জীবপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগের দাবিতে শাবিতে মানববন্ধন
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে একজন জীবপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।a
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ই এর সামনে থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পর্যন্ত প্রতিবাদ র্যালি পালন করেন তারা। এতে বিভাগটির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রায় একশোরও অধিক মানববন্ধনকারী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন এবং জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রে বৈষম্য শিকার হয়ে আসছে। দেশের জীবপ্রযুক্তি খাতকে একমাত্র একজন দক্ষ জীবপ্রযুক্তিবিদই অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। চায়ের দোকান থেকে প্রেসিডেন্ট দপ্তর এমন কোন দপ্তর নাই যেখানে জীবপ্রযুক্তিবিদদের স্কোপ তৈরি হয়নি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমাদের প্রাপ্য এ সম্পত্তি বেদখল করে রাখছে।”
“আমাদের আজকের এই আন্দোলন, আমাদের সম্পত্তির উদ্ধারের আন্দোলন। আমাদের ছাত্রদের ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নানান ভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা একটি ডাটা বিশ্লেষণে পেয়েছি, যার নাম ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি, সেখানে এ অবধি মাত্র ৪ শতাংশ বায়োটেকনোজি গ্র্যাজুয়েটকে চাকরির সুযোগ পেয়েছে। অথচ এ বিভাগের বয়স ৩০ বছরের উপরে। সরকারের প্রতি অন্তত বিনীত অনুরোধ, তারা যেন এই বৈষম্যের নিরসন করে।”
জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “ বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক একমাত্র কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি। এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে কোন জীবপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগ পায়নি। আগে পর্যাপ্ত বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েট দেশে ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায়ই প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ভালো বায়োটেকনোজি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতেছে। কিন্তু তারপরেও ভিন্ন বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের এখানে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের সাথে ও আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চরম বৈষম্য।”
তিনি বলেন, “ ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালকে অবশ্যই জীবপ্রযুক্তিবিদ হতে হবে। আমরা কোন কোথাও বৈষম্য চায় না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে জীবপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগ না দিলে আমরা তা মেনে নিব না। এ দপ্তরে জীবপ্রযুক্তিবিদ নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
মানববন্ধন কর্মসূচিতে জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো হযরত আলীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগটির অধ্যাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।