সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনীসহ আটক ২
দৈনিকসিলেট প্রতিবেদক
নরসিংদীর শিবপুরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক জসিম (৪৫) ও ভাড়ার শর্তে গাড়ির মালিক মুকুল মিয়া (৫৭) নামে দুই জনকে আটক করা হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত চালক জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে এবং কাভার্ড ভ্যানের মালিক মুকুল মিয়া বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার তাবালখালী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
নরসিংদী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সূত্রে খবর পান যে সীমান্ত এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান স্যারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকার শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয়।
এ সময় ঢাকাগামী মাঝারি আকারের একটি কাভার্ড ভ্যানের গতিরোধ করা হয়। ভ্যানের চালক ও অপর ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি করে কাভার্ড ভ্যানে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করা হয়। পরে কাভার্ড ভ্যানসহ চালক ও মালিককে আটক করে নরসিংদী ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
ওসি এস এম কামরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এসব প্রসাধনী ও পণ্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকা শহরের চকবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পারভেজ নামে একজন চকবাজারের ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে ভাড়ার চুক্তি হয়, এবং তার নির্দেশে এসব পণ্য শান্তিগঞ্জ থেকে কাভার্ড ভ্যানে বোঝাই করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। তবে, আটককৃতরা কোনো চালান কপি বা রশিদ প্রদর্শন করতে পারেনি।
এসময় উদ্ধার করা ভারতীয় প্রসাধনী ও পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে চক্রের মূল হোতাকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হবে।