যেসব কথা সহকর্মীকে বললেই বিপদ!
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
দিনের প্রায় অনেকটা সময় অফিসে কাটানো হয়। তাই সহকর্মীরা হয়ে হয়ে ওঠেন আমাদের অন্যতম আপনজন। হাসি-আনন্দ ও কাজের মাধ্যমে কাটে সহকর্মীদের সঙ্গে পুরোটা সময়। একই সঙ্গে দীর্ঘসময় কাটানোর কারণে অনেক সহকর্মীর মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন অনেক কথাই হয়তো সহকর্মীদের বলা হয়।
তবে সব কথাই কি সহকর্মীদের বলা যায়? না সব কথা বলা ঠিক না। এমন কিছু বিষয় আছে যা সহকর্মীদের বললে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন কিছু বিষয় আছে যা সহকর্মীদের বলা ঠিক না। যেমন-
১. আপনার আর্থিক অবস্থা
আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন তা কখনোই সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। পরিবারের রোজগার কত, সংসার চালাতে কত খরচ হয় এই সব তথ্য সামনে আসতে না দেওয়াই ভালো। পাশাপাশি, বেতন নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য না করাই উচিত। বেতন নিয়ে যদি আপনার অভিযোগও থাকে, তা হলেও তা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না।
২. শরীরগতিক
আপনার শারীরিক অবস্থা, অসুখবিসুখ নিয়ে বেশি চর্চা না করাই ভালো। হতেই পারে আপনার কোনো ক্রনিক রোগ রয়েছে অথবা শারীরিক ভাবে কোনো দুর্বলতা রয়েছে, সে তথ্য পাঁচকান না করাই ভালো। সহকর্মী হয়তো শুনে দুঃখপ্রকাশ করবেন, কিন্তু আড়ালে সে নিয়ে হাস্যকৌতুকও হতে পারে। আর কর্তৃপক্ষের কানে গেলে তারা হয়তো ভাবতে পারেন এমন শারীরিক অবস্থায় আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে সক্ষম নন।
৩. রাজনীতি নিয়ে মতামত ও ধর্মীয় বিশ্বাস
আপনি যে ধর্মীয় মতেই বিশ্বাসী হোন না কেন, তা নিয়ে সহকর্মীদের মতামত না দেওয়াই ভালো। আপনার কোনো মন্তব্য অন্যকে আঘাত দিতেই পারে। সে নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হতে পারে। একই রকম ভাবে আপনার রাজনৈতিক মতামত ও আদর্শও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না। অফিস পেশাদার জায়গা। সকলের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে, ব্যক্তিগত মতামত ও বিশ্বাস নিয়ে চর্চা না করাই শ্রেয়।
৪.পরনিন্দা-পরচর্চা করলেই মুশকিল
কাজের জায়গায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হতেই পারে। সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য যা-ই হোক না কেন, তা নিয়ে অফিসে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। আর সে নিয়ে কখনোই আড়ালে সমালোচনা করতে যাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের সামনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনা, বসের নামে অভিযোগ করতে থাকলে, তা আপনারই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
৫. চাকরি খোঁজার কথা
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কখনোই সহকর্মীদের জানাবেন না। তারা যতই ঘনিষ্ঠ হোন না কেন, কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী, তা নিজের মধ্যেই রাখুন। বিশেষ করে, যদি অন্য কোথাও চাকরি খোঁজার কথা ভাবেন, তাহলে সে পরিকল্পনার কথাও আড়ালেই রাখতে হবে। খোলাখুলি আলোচনা করলে, আপনার পরিকল্পনা কখন কর্তৃপক্ষের কাছেই ফাঁস হয়ে যাবে, তা বুঝতেও পারবেন না।