ছাতকের লাকেশ্বর বাজারে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলা
ছাতক প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত ট্রিটমেন্টের জন্য বিদেশে প্রেরণ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবিতে ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর বাজারে সমাবেশের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে লাকেশ্বর বাজার মাঠে সমাবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। দুপুর ২টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা ১৬টি বছর ধরে দেশের মানুষের উপর জুলুম-নিপীড়ন করছে। তারা মানুষের ভোটাধিকারকে হরণ করে ক্ষমতা দখল করে আছে। । অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদ দখলে রাখতে সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। মেগা প্রকল্পের নামে নিজদলের নেতাকর্মীদের লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও জিনিসপত্রের দাম কমানোর জোর দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাতক উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ উদ্দীন ও সভা পরিচালনা করেন ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোজাহিদুর রহমান হীরা।
প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য শুনেই সমাবেশে হামলা করে ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ নেতা ডালিমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এসময় বিএনপি ও ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবু হুরায়রা সুরত, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, দোলার বাজার ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুরুল আলম, গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক তারেক আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লায়েক চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা কবির আহমদ, আব্দুশ শহীদ, যুবদল নেতা মানিক মিয়া, ছাত্রদল নেতা আব্দুল হেকিম, আপ্তাব আলী, সফিক মিয়া, রুহেল আহমদ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় মামলা দিতে গেলে ছাতক থানা পুলিশ মামলা নেয়নি।