নবীগঞ্জে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
অনেকদিন ধরেই মাছ মাংস দিয়া ভাত খাইনা।সামান্য যে আয় হয় তা দিয়েই শাক সবজি ক্রয় করে কোনমতে সংসার চালাই।বর্তমানে শাক সবজির যে দাম তাও মনে হয় আর কপালে জুটবে না।বাজারে গেলে হাত পা কেঁপে ওঠে। কোন সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নয়।এমন চলতে থাকলে বেঁচে থাকাই দায়।এমনই কথাগুলো বললেন নবীগঞ্জ উপজেলার মিশুক চালক কালা মিয়া।
এ সময় তিনি আরো বলেন, গরিবের খাবার সবজি তাও এখন ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।এমন চলতে থাকলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের সীমাহীন কষ্ট বাড়বে।দাম নাগালের মধ্যে নিয়ে আসাটা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর)সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা, টমেটো ১৫০টাকা, করলা ১শ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা,শিম ১৫০ টাকা লাউ শাকের ডগা ৪০ টাকা, বাঁধা কপি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১শ টাকা, গাজর ১শ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, ধনেপাতা ৪০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা।এছাড়াও অন্যান্য সবজি প্রায় ১শ ছুঁই ছুঁই দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কমদামে মিলছে মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে পেঁপে। এছাড়া ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় সবজি ঢেড়ষ।
এ বিষয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতার সাথে তিনি বলেন, এর আগেও অনেক সময় প্রকারভেদে বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে কাঁচা মালের উর্ধমূখি বাজার মোটেই পড়তির দিকে নেই।সকল শাকসবজির মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে।ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা পিস। আর ৫০ টাকার বেশি হালি প্রতি দাম হাঁকালে ক্রেতারা নিতে চায় না।মাত্র ২ টাকা হালিতে ব্যবসা করেও কাস্টমারের মন রক্ষা করা কঠিন।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ৮০ টাকারও বেশি খরচ সহ লালশাক কিনতে হয়েছে। আর বিক্রি করছেন ১শ টাকায়, ১২০ টাকা দরে টমেটো কিনে বিক্রি করছি ১৫০ টাকায়, এছাড়াও বরবটি ১১০ ও গাজর ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা পাইকারি কেনা এসেছে বলেন তিনি।লাগামহীন বাজারে তেমন বিক্রিও হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।
কথা হয় সবজি কিনতে আসা একজনের সাথে।তিনি বলেন, সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছি না। তিনি বলেন, মিষ্টি কুমড়াও ৭০ টাকা কেজি তাই ৪০ টাকায় পুইশাক কিনে ফিরতে হচ্ছে ঘরে।তার অভিযোগ, এর আগে কখনো একযোগে সকল সবজির দাম বাড়েনি।ফলে নিম্ন আয়ের মানুষজন সবজিতে হাত লাগাতে পারছেন না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সাড়া দেশেই সবজির মূল্য বৃদ্ধি। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।