‘টাঙ্গুয়ার হাওর লোকজ ও পূর্ণিমা উৎসব’ শুরু, উপভোগ করতে পর্যটকদের ঢল

টাঙ্গুয়ার হাওর, শিমুল বাগানকে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাসরীন জাহান।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় প্রথমবারের মত ‘টাঙ্গুয়ার হাওর লোকজ ও পূর্ণিমা উৎসব’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।

সুনামগঞ্জ হাউজবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর ও টেকেরঘাট সীমান্তবর্তী শহীদ সিরাজ লেক (ট্যাকেরঘাট) এলাকায় অনুষ্ঠিত উৎসবে তিনি আরও বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে। পরিবেশকে নষ্ট করে কোনোও পর্যটন শিল্প গড়ে উঠতে পারে না। সচিব বেগম নাসরীন জাহান বলেন, আমাদের স্বপ্ন দেখলে হবে না, আমাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। চলতি বছর তিনদফা বন্যা ও দেশের অস্থিশীল পরিবেশের কারণে পর্যটন স্পষ্টগুলোতে পর্যটকদের আগমন কম ছিল। তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সম্ভাবনার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগানো হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরোদা রানী রায়, তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাসেম।

হাওর লোকজ ও পূর্ণিমা উৎসব অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আদিবাসীরা তাদের প্রচলিত একটি নিত্য পরিবেশন করে। পরে সুনামগঞ্জের সাহিত্যিক ও মরমি কবিদের স্মৃতিচারণে হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম,দুরবিন শাহ গান পরিবেশিত হলে পর্যটকরা সেটি উপভোগ করেন। এছাড়াও লোকজ ও পূর্ণিমা উৎসবে আধুনিক ও ফোক গান পরিবেশন করেন মাসুম এন্ড ফ্রেন্ডস, সর্বনাম,আনন্দ নগর ও স্থানীয় শিল্পীরা।

এদিকে, মনোরম পরিবেশে পূর্ণিমার সুন্দর্য উপভোগ করতে ছুটির দিনে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, বারিকাটিলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ভিড় করেন পর্যটকরা। সেই সাথে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে নীলাদ্রি লেকের(ট্যাকেরঘাট)এলাকায় উৎসবে ও পূর্ণিমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে জড়ো হন পর্যটকরা।

হাউজবোট ওনার্স এসোসিয়েশন অব সুনামগঞ্জের উদ্যোগে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে সম্মান ক্রেস্ট প্রদান করেন।

ডিএস/আরএ