যে কারণে বিমানের ৫ কর্মকর্তা কারাগারে
দৈনিকসিলেটডেস্ক
পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরীয় বিমান ভাড়ায় এনে সরকারের এক হাজার ১৬৪ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন বিমানের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস ও সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এসএ সিদ্দিক)।
আজ এ মামলা অধিকতর তদন্তের আবেদন করেছে দুদক। সে বিষয়ে এদিন শুনানি হলেও আদেশ অপেক্ষ্যমান রেখেছেন আদালত।
আজ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আইনজীবীরা তদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা ও মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং অধিকতর তদন্তের আবেদন আদেশ অপেক্ষ্যমান রেখেছেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং এজাহারভুক্ত ২৩ জনের মধ্যে ১৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।