ভিটামিনসমৃদ্ধ ১২ খাবার

ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ হলো জৈব খাদ্য উপাদান, যা সাধারণত খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটা রোগপ্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দেহে ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ বা সমস্যার প্রাদুর্ভাব হয়। যেমন-ভিটামিন এ’র অভাবে দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিটামিন সি’র অভাবে ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, ভিটামিন থেকে কোনো শক্তি পাওয়া যায় না। তাই ভিটামিন শক্তিপ্রদ খাদ্য নয়। দেহ সংরক্ষক পদার্থ হিসেবে ভিটামিন কাজ করে। আজ আপনাদের ভিটামিনসমৃদ্ধ কিছু খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।

১. ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুম ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সমৃদ্ধ। এটি দেহে পুষ্টির অভাব দূর করে।

২. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ‘রাঙা আলু’ নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, মিষ্টি আলুতে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ রয়েছে। পাশাপাশি এটি আয়রনের চমৎকার উৎস। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. পেঁপে
পেঁপে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি ফল। প্রতিদিন পাকা পেঁপে খেলে ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। ভিটামিন এ সমৃদ্ধির কারণে এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

৪. কিশমিশ
কিশমিশ লাল রক্তকোষ সংশ্লেষণে সাহায্য করে। কিশমিশ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

৫. পাতাকপি
অন্য সবুজ সবজির মতো পাতাকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। পাতাকপি বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ। পাতাকপি দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. আম
ফলের রাজা আম। পাকা আমে ভিটামিন সি, বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় চোখ ভালো রাখে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো।

৭. টমেটো
টমেটোতে রয়েছে লিকোফিন ও ভিটামিন সি’র মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। প্রতিদিন এটি খেলে চামড়ায় ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে। টমেটো খেলে রক্তের লাল রক্তকণিকা বাড়ে এবং শরীরের ফ্যাকাসে ভাব ও রক্তস্বল্পতা দূর করে।

৮. পনির ও মাখন
পনির ও মাখন ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পনির ও মাখন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এক কাপে দুধ ১৪ শতাংশ ভিটামিন এ’র চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়া এক টুকরো চিজ ১ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ প্রতিদিনকার ভিটামিন এ’র চাহিদা পূরণ করে। হলুদ পনির শরীরের রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৯. ব্রোকলি
ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বক সুন্দর করে। শরীরকে বিষমুক্ত করে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে।

১০. মিষ্টি কুমড়া
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার মিষ্টি কুমড়া। খেতেও সুস্বাদু। মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যারটিনয়েড, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ফলে ত্বককে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

১১. সূর্যমুখীর বীজ
সূর্যমুখীর বীজে আছে ভিটামিন ই। নিয়মিত খেলে ত্বক সুন্দর হয়। সূর্যমুখীর বীজ শুধু পুষ্টির উৎস নয়, বরং স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং উন্নত প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতেও এর অবদান রয়েছে। ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কে ভরপুর সূর্যমুখী বীজ ত্বক এবং শরীর ভালো রাখে।

১২. ফুলকপি
এক কাপ রান্না করা ফুলকপিতে ১৭.১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে থাকে। এতে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি ৬-এর মতো পুষ্টি উপাদানও থাকে।

ডিএস/আরএ