কে হচ্ছেন মধ্যনগর বিএনপির কান্ডারী? সভাপতি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মজনু
মধ্যনগর প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আগামী পহেলা ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ।শোনা যাচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমনকি আহব্বায়ক কমিটি ঘোষনা হওয়ার কথাও শুনা যাচ্ছে। তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর নবগঠিত এই উপজেলার মধ্যে এই প্রথম কাউন্সিলের মধ্যে নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাউন্সিলকে ঘিরে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নবগঠিত এই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিসিয়াল প্রতিষ্ঠানেও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা কে হচ্ছেন নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির কান্ডারী। উপজেলা কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য দেনদরবার ও তদবির অব্যাহত রেখেছেন দলের নেতা কর্মীরা।
জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হামিদ তালুকদার, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু, সাবেক উপজেল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোশাহিদ তালুকদার, শ্রমিক দলের সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া সহ আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
উপজেলা সভাপতি পদে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মধ্যে আগামী এই নবগঠিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ তালুকদার ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের নামে আলোচনা ও প্রচার প্রচারণা বেশি শোনা যাচ্ছে।
বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে,সভাপতি পদে এই তিন জনের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল লতিফ তালুকদারের সম্তান,বর্তমান উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনুর বড় ভাই, মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,তৃনমূলের কর্মীবান্দব ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বার বার কারা নির্যাতনের স্বীকার সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু জনপ্রিয়তা ও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। যদি কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেন হেভিওয়েট এই প্রার্থীর।বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের তৃনমূল নেতাকর্মীরা আসন্ন উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব বাছাইপর্বে তৃনমূলের আস্থা,কর্মীবান্দব,ইয়াং স্মার্ট ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা মনোনীত করার চিন্তা করছে।এমনকি যারা বিএনপির দুর্দিনে রাজপথে না থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের সাথে মিলে ব্যবসা বানিজ্য চালু রেখেছে,জেল জুলুম থেকে বাঁচতে বিগত ১৭ বছর ধরে যারা বিএনপির মিটিং মিছিলে পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেনি এমনকি তৃনমূলের সাথে সাংঘর্ষিক নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই আগামী পহেলা ডিসেম্বর উপজেলা বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ কে সফল করতে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা সভা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা বিএনপি সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিএনপির দুঃসময়ে যারা মধ্যনগরের রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ছিলেন তারাই উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসবেন এইটাই তারা আশা করছেন।
বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভোটদানের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলে তারা যোগ্য নেতার হাতে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপিকে তুলে দেবেন।
উল্লেখ্য, মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিমউদ্দিন মিলন, সদস্য ব্যারিষ্টার নুরুল ইসলাম নুরুল সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। মধ্যনগর বিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নবগঠিত এই উপজেলার রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্বে কারা আসছেন সেটাই এখন বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছেন। তবে জেলা বিএনপির কাছে তৃণমূল বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের ত্যাগী নির্যাতিত কর্মীরা ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে দাবী জানিয়েছেন নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো তৃনমূল বিএনপির মতামতের উপর ভিত্তি করে,তৃনমূল কর্মী বান্ধব, বিগত ১৭ বছরের রাজপথের পরীক্ষিত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করা হউক।