৩ লক্ষ টাকার মৌখিক শর্তকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষক ও সচেতন মহল
তাহিরপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ার মৌখিক শর্ত কে স্বাগত জানিয়েছে সচেতন মহল ও হাওর পাড়ের কৃষকগন।
হাওর পাড়ের কৃষকগন জানান, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে প্রতি বছরেই একটি সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠে যারা কৃষক না। কৃষকদের সামনে রেখে যাদের উদ্দেশ্যই বাঁধ নির্মাণ/মেরামতে অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য। সেই সব লোকজন পিআইসি নিয়েই তালবাহানা শুরু করে বাঁধেও খুঁজে পাওয়া যায় না দায়িত্ব দিয়ে দেয় অ্যাক্সকেভেটর লোক জনের কাছে। ফলে কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়। ফলে আগাম বন্যায় আতংকে থাকে হাওর পাড়ের লাখ লাখ কৃষকগন তাদের কষ্টে ফলানো বোরো ধান নিয়ে।
মাটিয়ান হাওরে কৃষক লতিফ মিয়া জানান, এই ৩ ক্ষেত্রে ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত ৫ লক্ষ ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ার মৌখিক শর্ত দেয়ার দাবী জানিয়েছেন। যারা এই শর্তে আপত্তি করবে তাদের বাঁধের কাজে না আসায় ভাল। আর এই শর্ত থাকলে পিআইসি নিয়ে কেউ গাফিলতি ত দুরের কথা বাঁধে কোনো অনিয়ম করবেনা। কারন লাভ করতেই বাঁধের কাজ করতে আসে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওররক্ষা বাঁধের ভাঙন বন্ধকরণ ও মেরামত কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের লক্ষে আবেদনের সাথে ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংযুক্ত করে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তাহিরপুর শাখা আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বরাবর দরখাস্ত দাখিল করার জন্য নোটিশে বলা হয়। তবে ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে জারীকৃত নোটিশে ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্টের কথা কোথাও বলা হয়নি।
জারীকৃত ৭টি শর্তের মধ্যে রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, সভাপতি সেক্রেটারীসহ সদস্যগণের ১ কপি করে পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি,জমির খতিয়ান(পর্চা)উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে,সংশ্লিষ্ট মৌজা ম্যাপের ফটোকপি, প্রকৃত কৃষক হিসাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়ন/কৃষিকার্ড, পিআইসি কাজের মাটি যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হবে, উক্ত জমির মালিকানা, খতিয়ান ও দাগ নং উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। জমি অবশ্যই বাঁধ থেকে ৩০০ মিটার/১০০০ ফুট দূরের হতে হবে।
শনির হাওরপাড়ের উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, বাঁধে কাজের উপর বেশি বরাদ্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাবিটা নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প কমিটিকে দিলে তারাও ভাল ভাবে কাজ করবে আর আমরাও বাঁধ নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারব কোনো ক্ষতি হবে না।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভায় বলেছি প্রকল্প কাজের শুরুতে যে সমস্ত পিআইসি সভাপতি প্রকল্প এলাকাতে অ্যাক্সকেভেটর মেশিন রাখবে তাদেরকেই শুধু অগ্রিম শতকরা ২৫ ভাগ বিল দেয়া হয়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ইচ্ছুক প্রকল্প কমিটির নিকট থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে এটি শুধু ফিল্টারিং মাত্র। আবেদনের সাথে যারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে পারবে না তাদেরকেও প্রকল্প দেয়ার বিবেচনা করা হবে।