সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বজনরা
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বজনরা। তাদেরকে অনুষ্ঠানে প্রবেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিও প্রচারকারী স্থানীয় সংবাদকর্মী আনোয়ার হোসেন সুমন জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাহিরে ও বারান্দায় থাকা ৭ মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও ১ জন মেয়ে অভিযোগ করে বলে তাদেরকে ভিতর থেকে বের করে দিয়ে আর ঢুকতে দিচ্ছেন না। এজন্য কয়েকজন বাড়ি ফিরে যায়। পরে তিনি ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করেন।
তিনি আরও জানান, ফেসবুকে প্রচারের কিছুক্ষণ পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দিন রেনু ভিডিওটি ডিলিট দিতে বলেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্বজনদের ভেতরে ঢুকায় প্রশাসনের লোকজন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এন. এম মহিউদ্দিন আল মামুন বলেন, আমি অনুষ্ঠানে গিয়ে মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারদেরকে ঢুকতে না দেওয়ায় সাংবাদিক সুমনকে অবহিত করি। পরক্ষণেই তিনি ভিডিও করে প্রচার করেন। ফেসবুক ভিডিও প্রচার হলে প্রশাসনের লোকজন তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান শুরুর কোনো একপর্যায়ে তাদেরকে অনুষ্ঠানস্থলের পিছনে থাকা চেয়ারগুলোতে এনে বসান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শুধুমাত্র আমরাকে (জীবিত মুক্তিযোদ্ধা) সংবর্ধনায় জনপ্রতি ২০০ টাকা ও দুপুরের নাস্তা একটি সিঙ্গাড়া ও একটি জিলাপি দিয়েছেন। কিন্তু মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তাদেরকে দেয়নি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন রেনু বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিকের মতো জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে সম্মানি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। উনারা যখন দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন আমরা অভিবাদন মঞ্চে ছিলাম। গেট খুলে দেওয়ার পর উনারা ভিতরে গিয়েছেন।