সুনামগঞ্জে মসজিদের ভূমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভূমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় ধনপুর বাজারের আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধনে মিলিত হন স্থানীয় সর্বস্তরের জনতা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান আবু, ধনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, প্রবীণ মুসল্লী সামছুল হক, মসজিদের সাবেক ইমাম মাও. লুৎফুর রহমান, ব্যবসায়ী মন্তু মিয়া, ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জীবন, মসজিদের ইমাম মাও. মোস্তাক আহমদসহ অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার ছাতারকোনা মৌজার ৭৫৫ খতিয়ানের ৪৫৮৩ দাগের ১৫ শতক ভূমি ১৯৬৫ সাল থেকে দলিল মোতাবেক ধনপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভোগদখলে ছিল। গত দুইবছর আগে মসজিদ কমিটির বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে স্থানীয় সুরেশনগর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন ও তার বাহিনী মসজিদের প্রায় সোয়া এক শতক জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে একটি টিনশেড বিল্ডিং স্থাপন করেন। জবরদখলের পাশাপাশি এ চক্রটি মসজিদের নির্ধারিত জায়গায় মসজিদের বিল্ডিং ঘর নির্মাণের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন।
বক্তারা বলেন- এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় এ পর্যন্ত ৩ বার, মসজিদ এলাকায় ২বারসহ মোট ৫ বার সালিশ বৈঠকে অবৈধ দখলদাররা তাদের বেআইনী স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে মসজিদের জায়গা দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দখলবাজী থেকে বিরত হয়নি। সর্বশেষ সার্ভেয়ার দ্বারা সঠিকভাবে জায়গা পরিমাপ করে ৮.৬৫ শতক জায়গা দখলবাজদের দখলে আছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ার পরও দখলবাজরা মসজিদের জায়গা এখনও মসজিদের জায়গা ছেড়ে যায়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বাদী হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় মকবুল হোসেন বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মসজিদের জায়গা সংরক্ষণে প্রশাসন এগিয়ে আসার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনতা। এদিকে, অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। তবে। বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি বিরোধীয় দুপক্ষকে নিয়ে থানায় সালিশে বসে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি। মসজিদের কাগজপত্র সঠিক আছে। দখলবাজরা বারবার বিচার মেনেও তালগাছ তাদের নীতির ভিত্তিতে বে-আইনীভাবে মসজিদের কাজে প্রতিবন্ধকতা অব্যাহত রেখেছে। আমরা দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টায় আছি।