যে লক্ষণে বুঝবেন কিডনি রোগে আক্রান্ত
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হলো কিডনি। মূত্র থেকে শুরু করে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায় এই অঙ্গ। তাই সুস্থ থাকতে বৃক্কের হাল ঠিক রাখা জরুরি।
মানুষের শরীরে কিডনির সংখ্যা দুইটি।
তাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়ে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের মতো প্রথমেই কিডনির ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। আর সময় থাকতে কিডনির সমস্যা ধরা না পড়লে সেরে ওঠার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। তবে শরীরের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা কিডনির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, সে সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে-
হঠাৎ প্রস্রাবের রং বাদামি হয়ে গেলে তা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। প্রস্রাব ঠিক মতো না হলে কিংবা একবারে প্রস্রাব করতে না পারলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হলে বা প্রস্রাবে ফেনা হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিডনি বিকল হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয় না।
কিডনির সমস্যার ফলে শরীরেই সেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমতে থাকে। তা থেকে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
পায়ের পাতা, আঙুল, মুখ ফুলতে শুরু করলেও তা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। যদিও শুধু কিডনি বিকল হলেই যে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে, তা নয়। হার্টের সমস্যা থেকেও পা ফুলতে পারে।
কিডনি সুস্থ না থাকলে তার প্রভাব ফুটে ওঠে ত্বকে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা, বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য— সবই নির্ভর করে কিডনির ওপর। রক্তে বিভিন্ন উপাদান সঠিক মাত্রায় না থাকলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আচমকা ওজনও কমে যেতে পারে। এ ছাড়া কিডনি রোগের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-
বমি বমি ভাব এবং বমি, হেচকি
ক্ষুধা, ঘুম, ওজন এবং যৌনতার আগ্রহ কমে যাওয়া
ক্লান্তি, দুর্বলতা, অত্যধিক তৃষ্ণা
মলের মধ্যে রক্ত এবং অনিয়মিত প্রস্রাব আউটপুট
দুর্বল মানসিক তত্পরতা, বিভ্রান্তি ও তন্দ্রা
অস্থির লেগ সিন্ড্রোম এবং হাত ও পায়ে অসাড়তা, গোড়ালি ও পায়ের প্রদাহ
ভঙ্গুর চুল ও নখ, চোখের চারপাশে প্রদাহ, ক্রমাগত চুলকানি
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ