বড়লেখায় মূর্তি ভাংচুর, টাকা স্বর্ণালংকার লুট: শেষ রক্ষা হয়নি উশৃঙ্খল যুবকের
তাহমীদ ইশাদ রিপন, বড়লেখা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার আদিত্যের মহাল এলাকার শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সেবাশ্রমের সেবায়েতকে ধাক্কা মেরে মাটি ফেলে ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় উশৃঙ্খল যুবক জাকির হোসেন টিপু মূর্তি ভাংচুর, সেবাশ্রমের দানের টাকা ও মহাপ্রভুর মুর্তির পরিধানকৃত স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার ৩ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে।
এব্যাপারে সেবাশ্রমের সভাপতি কৃপাসিন্ধু দত্ত থানায় মামলা করেছেন। জাকির হোসেন টিপু গাজিটেকা (আদিত্যের মহাল অংশ) এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে এবং বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ি।
এদিকে সেবাশ্রমে অনধিকার প্রবেশ করে মূর্তি ভাংচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরির্শন করেছেন ইউএনও তাহমিনা আক্তার, পৌর প্রশাসক ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো. কামরুল হাসান, থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম, জামায়াতে ইসলামীর আমীর এমাদুল ইসলাম, নায়েবে আমীর ফয়সল আহমদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
জানা গেছে, লীলা রানী দত্ত বড়লেখা পৌরসভাস্থ আদিত্যের মহাল শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সেবাশ্রমের সেবায়েত। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি বুধবার সকাল অনুমান সাতটা চল্লিশ মিনিটের সময় সেবাশ্রমে পূজা অর্চনাকালিন জাকির হোসেন টিপু কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম জপে সেবাশ্রমে প্রবেশ করতে চাইলে তিনি তাকে স্নান করে এসেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করে পথ আগলে ধরেন। এসময় জাকির হোসেন টিপু সেবায়েত লীলা রানী দত্তের মাথায় আঘাত ও ঠেলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দিরে থাকা ২টি মহাপ্রভুর মূর্তি ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। সেবাশ্রমের প্রণামী বাক্সের নগদ টাকা, মুর্তির পরিধানকৃত স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সে দ্রুত পালিয়ে যায়।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, ঘটনার খবর পেয়েই তিনিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার ৩ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনাকারি যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনার সাথে আর কারো সম্পৃক্ততা কিংবা যোগসূত্র রয়েছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।