প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক
উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিয়ানীবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আজির মার্কেটের নবনির্মিত ভবন মালিক আসাদ আহমদ তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান প্রতিবাদেলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রচারিত সংবাদে মিথ্যা দাবি এবং তথ্যের ভুল ব্যখ্যা বিবৃতি বিভান্তিকর এবং গুরুত্বপূর্ন আইনগত তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে।
মার্কেট এর মালিক আসাদ আহমদ বক্তব্য হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:
১৯৮৭ সালে হাজী আজির উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পারিবারিক ব্যবসায়িক বিষয়াদী তাঁর বড় ছেলে হাজী আব্দুল জলিল দ্বারা পরিচালিত হয়। বিগত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে আব্দুল জলিলের মৃত্যু পর মরহুম হাজী আজির উদ্দিনের উত্তরাধিকারীগণ উনার বাবা ও মরহুম হাজী আব্দুল জলিলের উত্তরাধিকারীগণ উনার দাদার সম্পতি আপোষ বাটোয়ারা মাধ্যমে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৫ সালের ৩১ শে জানুয়ারি ১ টি আপোষ বাটোয়ারা নামা একাধিক পারিবারিক বৈঠকের পর তৈরী করা হয়। সকল উত্তরাধীকারীর সম্মতিতে ৩০০ টাকা স্টাম্পে মুহুরি আব্দুল মজিদের হাত নকশায় প্রত্যেক উত্তরাধিকারীর অংশ উল্লেখ করে একটি বাটোয়ারা নামা লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত বাটোয়ারা নামায় অভিযোগকারী ফারুক উদ্দিনের সাক্ষর রয়েছে। আদালতের রায়ে আপোষ বাটোয়ারা নামাঃ ২০১৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি আপোষ বাটোয়ারা নামা একটি আইনগত রায়ের কেন্দ্র বিন্দু ছিল। আদালত সমূহ নিয়মিত ভাবে এই পারিবারিক বাটোয়ারা নামা লক্ষ করে রায় প্রদান করেছে এবং প্রত্যেক আদালতের যাচাই বাছাই করা হয়েছে। নিম্নলিখিত আদালত সমূহে রায় প্রদান করেছে।
০১। এসিল্যান্ড অফিস বিয়ানীবাজার: ফারুক উদ্দিন আপোষ বাটোয়ারা নামাটি জাল করে আমার অংশ হইতে জমির পরিমান কেটে নিয়ে নিজের অংশের জমির পরিমান বৃদ্ধি করে নামজারি করে নেয়। পরবর্তীতে ঐ নামজারি বাতিল করা হয়। মামলার রায় আমার পক্ষে আসে।
২। জজকোট সিলেট (২০১৬) উপরোক্ত রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে ফারুক উদ্দিন জজ কোর্টে আপিল পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য জজ কোর্ট আপিল পিটিশনটি খারিজ করে দেয়।
৩। হাই কোর্ট ডিবিশন (সিবিল রিভিশন মামলা নম্বর: ৫৬৮/২০২৩) হাইকোর্ট ফারুক উদ্দিনের আপিল বাতিল করেছে। আপোষ বাটোয়ারা নামাকে একটি বাধ্যতামূলক আইনগত দলিল হিসাবে স্বীকার করেছে।
উপরোক্ত রায় গুলো নিশ্চিত করে যে আপোষ বাটোয়ারা নামা আইন গত ভাবে বৈধ দলিল যা সকল উত্তরাধিকারীর পারস্পরিক সম্মতিকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। তবুও ফারুক উদ্দিন তাঁর তৈরী করা মিথ্যা বানোয়াট জাল দলিলের মাধ্যমে এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছেন। যা বার বার আদালতে প্রত্যাখান করা হয়েছে। ১৯/১২/২০২৪ ইং তারিখে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে বিগত ১০ বছর যাবৎ ফারুক উদ্দিন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন অথচ প্রতিটি মামলায় ফারুক উদ্দিন পরাজিত হন। মামলায় পরাজিত হয়ে বর্তমানে ফারুক উদ্দিন সঠিক তথ্য গোপন রেখে অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রশাসন ও এলাকার জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বিগত বছর হইতে আজ অবদি এখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয় নাই এবং আইন শৃঙ্খলার ভঙ্গের ও কোন আশংখ্যা নাই। ২। শব্দ দূষন এবং দুষনের অভিযোগ শব্দ দূষন ও পরিবেশ দুষন লঙ্গন সম্পর্কিত অভিযোগটি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।
ক। যথাযত কর্তৃপক্ষের অনুমতি স্বাপেক্ষে এখানে নির্মাণ কাজ চলিতেছে বিধায় শব্দ দূষনের প্রশ্নই আসে না।
খ। দালান বা ইমারত নির্মাণে দিন অথবা রাত্রে সময়ের প্রেক্ষাপটে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা থাকে। সময়ের দিকে লক্ষ রেখেই কাজ করা হচ্ছে
৩ । কাজের সাইটে বালু, পাথর এবং ইট আমার অংশের মধ্যেই রাখা আছে। যানবাহন বা লোকজন চলাচলের রাস্তার উপর কোন মাল রাখা হয় নাই যদি
রাস্তার উপর মালামাল রাখা হত তাহলে শুধু ফারুক উদ্দিন কেন অভিযোগ করবেন অন্যরাও তো অভিযোগ করতেন কিন্তু ফারুক উদ্দিন ব্যতিত আজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি।
৪। ৩১শে জানুয়ারি ২০১৫ সালের আপোষ বাটোয়ারা নামায় এখানে কোন রাস্তা প্রদর্শন করা হয় নাই। ২৮ ফুট প্রসন্ত রাস্তাটি ফারুক উদ্দিন বিকৃত মস্তিস্কের কল্পনা প্রসুত মাত্র।
৫। সরকারি পৌর নথিপত্রে সিলেট বারইগ্রাম হাইওয়ে থেকে ইনার কলেজ রোডের সাথে কোন সংযোগ রাস্তা নাই।
৬। ফারুক উদ্দিনের মার্কেটে যাবার নিজস্ব প্রবেশ পথ রয়েছে। আছাদ আহমদ এর নির্মাণ কাজের কারণে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে জনগনকে বিভ্রান্ত করার এবং বৈধ উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এমন রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে।
৭। সিলেট অ্যাডিএম কোর্ট (২০২৪) ফারুক উদ্দিনের একাধিক মামলা ১৪৫ ধারা প্রমাণের অভাবে বাতিল করা হয়েছে। এই রায় গুলোর পরেও ফারুক উদ্দিন পূণরায় আইনি প্রক্রিয়া অপব্যবহার করে চলেছেন। একাধিক মামলা দায়ের করে এবং আইনগত পদক্ষেপের ভুল ব্যবহার করেছেন।
৮। আইন প্রয়োগকারী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দাখিল।
বছরের পর বছর ফারুক উদ্দিন বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেমন: থানা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়, বিয়ানীবাজার থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয় এমনকি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিটি তদন্তে তার দাবি গুলোর কোন ভিত্তি পাওয়া যায় নাই। আদালতের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কারকরণ।
১৯/১২/২০২৪ তারিখের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনও বলেছিলেন যে তিনি আদালতের আদেশ পেয়েছেন। তবে। যেই আদালতের আদেশের উল্লেখ করা হয়েছে, তা ইউএনও-কে প্রদান করা হয়নি এবং তার হস্তক্ষেপের প্রয়োজন ছিল না। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা এমন কোনো নোটিশ গ্রহণ করেনি। এই অমিল ইউএনও-এর বক্তব্যের সততার বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং তার অফিসের অপব্যবহার জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য হতে পারে। উপসংহার। ১৯/১২/২০২৪ তারিখে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির অভিযোগগুলি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর। এই দাবিগুলি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করেছে, যার মধ্যে আপোষ বাটোয়ারানামা-এর একাধিক আদালতের দ্বারা পুনরায় বৈধতা প্রাপ্তি অন্তর্ভুক্ত। আছাদ আহমদ বছরের পর বছর ফারুক উদ্দিনের পক্ষ থেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন, যিনি আইনি প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করেছেন, বিচার বিলম্বিত করেছেন এবং বৈধ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
আমরা মিডিয়া আউটলেটগুলোকে সাংবাদিকতার নৈতিকতা মেনে চলতে এবং মানহানিকর তথ্য প্রকাশের আগে সঠিক তথ্য যাচাই করার জন্য অনুরোধ করছি।