ওসমানীতে নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক সার্জারী বিভাগের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় সমন্বয় সভা ও প্রথম ডিপার্টমেন্টাল হেড’স এওয়ার্ড অনুষ্ঠান । সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে বিভাগীয় প্রধান ডা: নূরুল হুদা নাঈম এর সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিপার্টমেন্টাল হেড’স এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
নাক-কান-গলা বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা: মো: আব্দুল হাফিজ শাফীর পরিচালনায় সভার শুরুতে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ডা: মুখলেসুর রহমান শামীম।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ, এওয়ার্ড প্রদানকালে ২০২৪ সালে ৯টি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ড প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: সৈয়দ নাফি মাহদী।
২০২৪ সালের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন বেস্ট একাডেমিসিয়ান হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার শাহ কামাল, প্রথম অর্ধ-বার্ষিকির জন্য বেস্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন বর্তমান আবাসিক সার্জন ডা: মো: আব্দুল হাফিজ শাফি,দ্বিতীয় অর্ধ-বার্ষিকির বেস্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,বেস্ট এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন ডা:আমজাদ হোসেন,বেস্ট ট্রেইনি হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন রেসিডেন্ট ডা: বিনয় সেন।
বেস্ট সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন শাহনাজ পারভীন,বেস্ট পারফরম্যার কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রজেক্টে এওয়ার্ড পেয়েছেন মো.সোহাগ বাদশা,বেস্ট এমএলএসএস হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন আশরাফ আলী এবং বেস্ট ওয়ার্ড বয় হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন সাকিব হোসাইন।
এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ শাহ কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ডা: জিয়াউর রহমান চৌধুরী ব্যতিক্রমি এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এতে করে প্রত্যকের কাজের প্রতি আরো বেশি মনোযোগ হবেন। এই স্বীকৃতি প্রত্যেকের দ্বায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে তুলবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অত্র হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা: উমর রাশেদ মুনির বলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগ হিসাবে ব্যতিক্রমী আয়োজনের দাবিদার এখন থেকে ইএনটি ডিপার্টমেন্ট । তিনি বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার নূরুল হুদা নাঈম সহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এতে করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।স্যার বলেন প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট এ এমন পদক্ষেপ গ্রহন করলে কর্মীদের মধ্যে কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
উপ-পরিচালক মহোদয় এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে অন্যান্যদের আগামী বছরের জন্য আরো ভালো করে কাজ করার উৎসাহ প্রদান করেন। তিনি বলেন বিভাগীয় প্রধান ডা: নাঈম দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে গত দেড় বছরে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন ডিপার্টমেন্টকে। তিনি উল্লেখ করেন ওসমানী মেডিকেলের সিগনেচার প্রজেক্ট কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮৮ জন্য জন্মগত বধির শিশুর সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে ডা: নূরুল হুদা নাঈম বলেন, সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম সুচারুভাবে গতিশীল রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ডিপার্টমেন্টকে সুন্দর সার্ভিসের মাধ্যমে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এতে ইএনটি বিভাগ তথা পুরো হাসপাতাল এর ভাবমূর্তি জনগণের কাছে আরো সমুন্নত হবে এ লক্ষেই প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগে নেয়া হয়েছে।
সবাই যাতে আরো ভালো ভাবে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে।