লাখাইয়ে শরীরে গুলি নিয়ে কারাগারে আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী
মহসিন সাদেক, লাখাই প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে অংশ নিয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছিলেন নাহিদুল ইসলাম নামে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ক্ষত, শরীরে থকে এখনো বাকী ৬টি বের, এ অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাহিদুল লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে তাজুল ইসলামের ছেলে। গত ১৮ অক্টোবর গ্রামের একটি মারামারীর ঘটনায় তাকে আসামী করা হয়।
পারিবারিক সুত্রে যানাযায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাহিদ।
তাঁরা জানান, বাবা রাজধানীতে রেস্টুরেন্টে চাকুরী করেন, নাহিদুল সেখানে থেকে একটি পলিটেকনিক্যালে পড়াশোনা করতেন।
বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে তিনি এতে অংশ নেন । ১৬ জুলাই তার শরীরে প্রায় ১৫টি গুলিবিদ্ধ হয়। এখনও শরীর থেকে ৬টি গুলি বের করার বাকী রয়েছে।
পরিবারের দাবি মারামারির দিন নাহিদুল ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পরও তাকে আসামী করা হয়।
গুলীবিদ্ধ নাহিদের গলায়ও গুলি থাকায় নরম ভাত ছাড়া আর কিছু খেতে পারেন না। এ অবস্থায় তাকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করায় তিনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওসি বন্দে আলী জানান, নাহিদুল যে গুলিবিদ্ধ এ বিষয়টি তখন পুলিশের জানা ছিল না।