বিশ্বনাথে রসুন চাষে সফলতার স্বপ্নে বিভোর কৃষক জাহেদ

সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে
অন্যান্য সবজির পাশাপাশি প্রথম বারের মতো রসুন চাষ করে সফলতার স্বপ্নে বিভোর কৃষক জাহেদ। সে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের গমরা গুল গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় এক যুগ ধরে পারিবারিক চাহিদা পূরণে ও মুনাফার আশায় প্রতি বছর আলু, মুলা, ফরাস, লালশাক, সরিষা, মিষ্টি কুমড়া, গম চাষ করে আসছেন। আর এর ধারাবাহিকতায় ইউটিউব দেখে এবং উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার প্রথম বারের মতো এ রসুন চাষে আগ্রহী হন তিনি। কম খরচে অধিক লাভ ও পারিবারিক ভাবে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করেন রসুন চাষ। যেহেতু সারা বছর এর চাহিদা রয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়ায় সে লক্ষ্যে মসলা জাতীয় এ ফসল চাষ করছেন তিনি।তার এ রসুন চাষ পদ্ধতি দেখে আগামীতে এটি চাষের ইচ্ছা ও আগ্রহ পোষন করেছেন আশেপাশের স্থানীয় অনেক কৃষক।দুর দুরান্ত থেকেও রসুন চাষের জমি দেখতে প্রতিদিন আসছেন অনেকেই।
সেচ ও অনুকূল পরিবেশ থাকায় প্রথম রসুন চাষে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।যদি চলমান মৌসুমে রসুনে সফলতা আসে তাহলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে রসুন চাষ করবেন এমনটাই জানান সাংবাদিককে।
সরেজমিন তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১৫ শতক জমিতে তিনি প্রথম বারের মতো রসুন চাষ করেছেন। প্রথমে ট্রাক্টর দিয়ে তিন থেকে চার বার জমি চাষ দিয়ে শুকিয়ে ৩০ সেন্টিমিটার প্রস্থ করে সেড তৈরি করে রসুনের চারা রোপন করেছেন এবং প্রতি সেডে চার থেকে পাঁচটি সারি রয়েছে।চারা রোপনের পর পর খড় দিয়ে ঢেঁকে রেখেছেন রোপিত বীজগুলো। চারা গজানোর সাথে সাথে কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ, সেচসহ অন্যান্য পরিচর্যা চলমান রেখেছেন।
এখন জমির সকল রসুন গাছ ভালো আছে।কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া এবার রসুনে আশানুরূপ ফলন পাবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক জানা যায়, প্রথম বারের মতো কৃষক জাহেদ আহমদকে রসুন চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ, কৃষি প্রাণোদনা হিসাবে রসুনের চারা,সারসহ এটি চাষে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। পাশাপাশি সব সময় তদারকি করতে মাঠে সার্বক্ষণিক আছেন মাঠ কর্মীরা।
এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, গত বছর উপজেলায় কিছুটা চাষ হলেও এ মৌসুমে ৫ টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১ একর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। কোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া রসুন উত্তোলন করে পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে বিক্রি করে অধিক লাভবান হবেন কৃষকরা।মাঠে রসুনের অবস্থা ভাল রয়েছে এবং মাঠ কর্মিরা সব সময় রসুন চাষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।