সুনামগঞ্জের সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা বাবুল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
যেদিকে চোখ যায় বিস্তৃর্ণ হলুদের সমারোহ। যেন দিগন্ত ছূঁয়ে গেছে সরিষা ফুলের আভা। সেই আভা তৈরি করছেন সুনামগঞ্জের সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা বাবুল। সখের বসে সরিষা, আলো, ধনিয়াসহ অন্যান্য রবি শষ্য চাষ করে এখন সফলতার দারপ্রান্তে তিনি। জেলা শহরে অবস্থান হলেও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরে পতিত জমিতে রবি শষ্য আবাদ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন প্রকৃতিপ্রেমী মোস্তফা বাবুল। এতে করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে।
উপজেলার ধরেরপাড় গ্রাম পার্শ্ববর্তী খরচার হাওরে ৭ দশমিক ২৮ একর জমিজুড়ে স্ব-উদ্যোগে রোপন করেন সরিষা, আলো, ধনিয়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন শষ্য। ব্যয় হয়েছে ৫ লক্ষাধিক টাকা। একাধিক শুভাকাঙ্ক্ষী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবার বাম্পার ফলনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সরিষা কাটার ধুম পড়বে। সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে, একজন সফল উদ্যোক্তার রবি শষ্য ফলনের দৃশ্য দেখতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় পরিদর্শন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা বাবুল, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, দোযারাবাজার উপজেলা কৃষি বিভাগের এটিএম শফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাংবাদিক গীতিকার সংগীত শিল্পী রাজু আহমেদ রমজান প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন কৃষি বিভাগের প্রধান ওই কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সফল উদ্যোক্তা মোস্তফা বাবুল বলেন, মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে নয়, মূলত মানুষকে উৎসাহিত করতে আমার এ প্রচেষ্টা। অনাবাদি কৃষি জমিতে অল্প শ্রমের বিনিময়েও যে বেকারত্ব ঘুছিয়ে সৎ উপার্জন করা সম্ভব এটা বুঝাতেই চেষ্টামাত্র।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, সরকারি প্রণোদনায় কৃষকদের সহায়তায সরকার বদ্ধপরিকর। মোস্তফা বাবুল যেভাবে স্ব-উদ্যোগে রবি আবাদ করে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।