বিশ্বনাথে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ

সমুজ আহমদ সায়মন, বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। দৃষ্টিজুড়ে হলুদের অপার সৌন্দর্যের সমারোহ চারিদিক। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ রঙের বিস্তৃতি। সরিষা ফুলের হলুদ আভায় মোড়ানো মাঠগুলো যেন প্রকৃতির সাজানো হলুদ গালিচায় পরিণত হয়েছে। ফুল আসায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে মৌমাছির গুঞ্জন, যা পুরো এলাকা জুড়েই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছেন দুরদুরান্ত থেকে আসা মানুষজন। আর সরিষার ভাল ফলন নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের খুরমা, লালটেক, পনাউল্লা বাজারের আশপাশ এলাকা,খাজাঞ্চী ইউনিয়নসহ দশঘর, দৌলতপুর,রামপাশা ও লামাকাজী ইউনিয়নের বেশকটি এলাকায় মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের এই সৌন্দর্য চোখে পড়েছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরিষার সবুজ গাছের ফুলগুলো ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির শীতের সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ মেখে। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেনু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ, এ অপরূপ প্রকৃতির দৃশ্য সত্যিই আনন্দের। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারিসারি মাঠে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা।
মাঠ পর্যায়ে কৃষক নজরুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমন ধান ওঠার পর বোরো ধান রোপনের আগে জমি অলস হয়ে পড়ে থাকে। এ সময় সরিষা চাষের উপযুক্ত সময়। ফলে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়া যায় অন্যদিকে জমিতে জৈব সারের ঘাটতি পূরণে বিরাট ভুমিকা রাখে। তাই এ বছর একটু বেশি জমিতে সরিষা আবাদ করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, চলমান অর্থ বছরে বিশ্বনাথ উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। আগামী বছর যাতে প্রনোদনা বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করবো আমরা এবং কৃষকদের মাঝে সহায়তা অব্যাহত রাখবো।