ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানাল শিবির

দৈনিকসিলেটডেস্ক
অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসার জন্য ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। সেই সঙ্গে ছাত্রদলকে শত্রু মনে করে না বলেও জানিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ছাত্র শিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের প্রতি এমনই আহ্বান জানান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ আহ্বান জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।’
ছাত্রদলের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।’
ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধমূলক বক্তব্যে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন।