অবিলম্বে এ টি এম আজহারকে নিঃশর্ত মুক্তি ও দলীয় নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন : ডা. শফিকুর রহমান

বাসস
দলের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও দলীয় প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অন্তরীণ। আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা, অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা হবে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে দলের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা দেশে অপশাসন- দুঃশাসন চালিয়েছে। এ সময় বাকশালীরা জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে দলের শীর্ষ নেতাদের একের এক গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করেছে। এ সঙ্কটকালে এটিএম আজহারুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের পথের কাঁটা সরানোর জন্য তাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে দীর্ঘ ১৩ বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আটক করে রেখেছে।
জামায়াত আমীর সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলে বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও এটিএম আজহার মুক্ত হলেন না কেন? তিনি সরকারের কাছে আজহারুল ইসলামের মুক্তির সময় সীমা জানতে চেয়ে বলেন, তার মুক্তি কবে হবে-আমরা তা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই। আমাদের উদারতা ও ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না। তিনি এ বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আগস্ট বিপ্লবের সকল মজলুম একে একে মুক্তি লাভ করলেও এটিএম আজহারই ব্যক্তিক্রম। মূলত, তিনিসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ফ্যাসিবাদের সাথে আপোষ করেননি বলেই তাদের ওপর ইতিহাসের বর্বর ও নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির মঞ্চে পাঠানোর আগেও তাদেরকে নানাবিধ আপোষ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের আপোষহীন ও অকুতোভয় নেতারা সেসব প্রস্তাবকে পায়ের তলে ফেলে শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন । আর আমরা তাদেরই উত্তরসূরি।
আমরা চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। কিন্তু সবকিছুর সীমা আছে।
তিনি অবিলম্বে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।