মাধবপুরে বোরো ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা

নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ১১টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকরা জমিতে বোরো ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর ভালো চাষ ও ভালো দামও পেয়েছিলেন উপজেলার কৃষকরা। ধানের দাম বেশি থাকায় এবার বোরো ধানের চাষ বাড়িয়েছেন কৃষকরা। তাই বোরো ধান পরিচর্যায় আগেভাগে মাঠে নেমেছেন তারা। তাদের প্রধান আবাদি ফসল নানা জাতের বোরো ধান চারা কৃষকরা পরিচর্যা করছেন। মাধবপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই এ ধানের আবাদ করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের কৃষক আবিদ খাঁ বলেন, গত বছর ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছরেও বোরো ধানের ভালো দামের আশায় বোরো ধানের চাষ করছি। এখন ধানের জমিতে ক্ষেত পরিচর্যায় প্রায় ব্যস্ত সময় পার করছি। ধানের আগাছা দমন বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ ও ফলন বৃদ্ধির জন্য আগাছা অপসারণ চারা বপন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি।
মাধবপুর পৌরসভার আলাকপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, বোরো ধান চাষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ সব রকমের সহযোগিতা করছেন। তাছাড়া এবার সার পেতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি আমাদের মতো কৃষকদের। ভালো ফলন পেলে ও ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ঠিক থাকলে সকল খরচ বাদ দিয়ে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারবো। আরেক কৃষক কামাল মিয়া জানান, সারের ডিলারে কাছে সার কিনতে আসলে বলে সারের দাম বেড়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে আমাদের সার্বিক সহায়তা করে না। তাই গতবারের চেয়ে বর্তমান বোরো ধান চাষে ভালো ফলন হবে না মনে হয় এ বার।
আন্দিউড়া ইউনিয়নের মীরনগর গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া জানান, এবার এক বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। এখন আগাছা পরিষ্কার করছি। আশা করি, বোরো ধানের ফলন ভালো হবে।
আদাঐর ইউনিয়নের মৌজপুর ব্লকে দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা বেগম বলেন,কৃষকদের কৃষিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখাশোনা আমাদের দায়িত্ব। যেহেতু কৃষি ডিপার্টমেন্টে আছি সেই হিসেবে কৃষকদের কৃষিতে সুবিধা অসুবিধা জানা দরকার। তবে কৃষকরা আমাদেরকে জানাতে হবে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, গতবছর ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার হেক্টর তবে আবাদ অর্জন ১২ হাজার ৮০ হেক্টর হয়েছে। বর্তমানে সকল ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় সারের কোন ঘাটতি নেই। কৃষক পর্যায়ে সরকারি মূল্যে সার বিতরণ এর জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কোন ডিলার কৃত্রিমভাবে সারের সংকট তৈরি করতে চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।