যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: আটক ৬

হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর নির্ধারিত সীমানার বাহির থেকে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়ার পাড়, শিমুল বাগানের পাড় ও জামাইল্লার চর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরে তাদেরকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউর রায়হান।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যারা আটক হচ্ছে তারা নিরহ ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। যারা অবৈধ ভাবে পাড় কাটা এবং সীমানার বাহিরে বালি উত্তোলন মত দন্ডনীয় অপরাধ মুলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এবং ঐসব নিরীহ মানুষকে বিপদে ফেলছে সেই সব রাগববোয়াল দের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। কারন যাদুকাটা নদীর ১০টি পয়েন্ট ২০-৩০জন প্রভাবশালী স্থানীয় বাসিন্দা ও চিহ্নিত আওয়ামিলীগের থাকলেও গত ৫ আগষ্টের পরে নতুন করে তারা আড়লে থেকে নতুন স্থানীয় ও বিভিন্ন দলের ব্যক্তিরা লোটপাট চালাচ্ছে।
জানাগেছে, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়ার পাড়, শিমুল বাগানের পাড় ও জামাইল্লার চর এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউর রায়হানের নেতৃত্বে বিজিবি, আনসার ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৬জনকে আটক করে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং ৩টি বালি বোঝাই নৌকাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে আমির হোসেন(২৬), একই উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মর্তুজা আলীর ছেলে আলমগীর(৩৫), শাহপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোফাজ্জল (২৪), একই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে রায়হান (২৮), নুর ইসলামের ছেলে মুশাহিদ (২৬), বজলুর রশিদ এর ছেলে রেজুয়ান (৩৪)।
আটক ও পরিবর্তিতে কারাদণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানিয়েছেন, যাদুকাটা নদীট পাড় কাটা এবং সীমানার বাহিরে বালি উত্তোলন দন্ডনীয় অপরাধ। সে অপরাধ যে বা যারাই করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়াও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।