বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই

দৈনিকসিলেটডেস্ক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই। তিনি আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে যোগ দেন দলটিতে। চট্টগ্রামের রাউজান ও কোতোয়ালি আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভায় খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সমাবেশসহ আজকের দলীয় কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার মৃত্যুতে আজকের চট্টগ্রামের সমাবেশসহ দলীয় কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যাকাণ্ড-জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট বনানী সামরিক করবস্থান শ্রদ্ধা নিবেদনসহ এ সংক্রান্ত কর্মসূচি চলমান থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন।মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৮৩ বছর বয়সী নোমান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
তার ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু জানিয়েছেন, প্রয়াত এই বিএনপি নেতার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর তার মরদেহ চট্টগ্রামে নেওয়া হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।