সেনাবাহিনীর অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা

নুর উদ্দিন সুমন:
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন স্থানে বাজার মনিটরিং করেছে যৌথবাহিনী।
রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে শহরের কাঁচাবাজার, বাল্লারোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী শাহজিবাজার আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট শাহরিয়ার হাসান খান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম মাহবুব এর উপস্থিতিতে যৌথবাহিনীর এ অভিযান পরিচালিত হয় ।
অভিযানকালে দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পুণ্য ও সয়াবিন তৈল বিক্রির অভিযোগ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় বিভিন্ন দোকানে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৩ ব্যবসায়ীকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও অতিরিক্ত মূল্যে সয়াবিন তৈল বিক্রির দায়ে আমকান্দি স্টোরের মালিক মোহাম্মদ আলীকে ৫০ হাজার ও সয়াবিন তেলের বডির থেকে অতিরিক্ত দামে তৈল বিক্রির অভিযোগে মনু মিয়াকে ১ হাজার, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য মজুদ রাখায় লিটন পালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়ে অনেক অসাধু দোকানদার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। অভিযানে সেনাবাহিনী এছাড়াও চুনারুঘাট থানার এসআই আল মামুন ও কৃষি অফিসার মাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
যৌথবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাজারের একাধিক গোডাউনে তল্লাশি করা হয়। চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজারে কৃত্রীম সংকট তৈরির অপচেষ্টা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তৈল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এই ধরনের প্রতারণা রমজান মাসে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমরা এমন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত জানিয়ে সেনাবাহিনী শাহজিবাজার আর্মি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট মো: শাহরিয়ার হাসান খান জানান, তারা রমজান মাস উপলক্ষে বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও অভিযান পরিচালনা করবে এবং জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন। রোজার মৌসুমে প্রতারণার শিকার ক্রেতারা ক্রেতাদের অভিযোগ কোনো কোনো খুচরা দোকানে সর্বোচ্চ এক লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। আবার তৈল পাওয়া গেলেও তার জন্য ক্রেতাদেরকে গুণতে হচ্ছে বাড়তি দাম। পরে কাচাবাজারে একাধিক দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে ব্যবসায়ীদের সচেতন করে কঠোর হুশিয়ারী দেয়া হয়।