ফলপ্রকাশের দিনও সংশোধন হয়নি শাবিপ্রবির ভর্তিচ্ছুদের ভুল তথ্য, দুশ্চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ১১দিন কেটে গেলেও ভর্তিচ্ছুদের টেকনিক্যাল কারণে প্রদর্শিত ভুল তথ্যের কোন সংশোধন করেনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি ফলপ্রকাশের দিন সকাল বেলাও ওয়েবসাইটে তথ্য ভুল প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৃত মার্ক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাছাড়াও এসব তথ্যের ভুলের কারণে অনেকের নাম্বার বেড়েও যাবার শংকা করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানি টেলিটক তথ্য আপডেট করেনি বলে সংশোধন হয়নি।
এর আগে ময়মনসিংহ বোর্ডের মাহবুবা নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থর তথ্যে এমন অসামঞ্জস্যতা দেখা গেছে বলে জানান পরীক্ষার্থী নিজেই। এছাড়াও প্রায় ৮৭ হাজার পরীক্ষার্থীর ভর্তি তথ্যেও ভুল থাকতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
ভর্তি তথ্যে অসামঞ্জস্যতা আছে ওই শিক্ষার্থী বলেন, “আমি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিই। কিন্ত আবেদনের পর আমার একাডেমিক বিভিন্ন তথ্য ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে।”
“আমার মাধ্যমিকের প্রকৃত জিপিএ ৪ দশমিক ৮৯। অথচ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জিপিএ দেখাচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫। একইসাথে আমার মাধ্যমিকের বোর্ড ময়মনসিংহ। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে মাদ্রাসা বোর্ড।
তিনি বলেন, “আবেদনের পর থেকে আজ সকাল বেলা পর্যন্ত ওয়েবসাইট চেক করলে এমন ভুল তথ্য প্রদর্শন করছিল। এমনকি দুপুর দিকে ওয়েবসাইট ডাউন দেখাচ্ছে। বারবার চেক করার চেষ্টা করলে ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদর্শিত না হয়ে প্রোগ্রামিং কোড প্রদর্শন করছিল। তবে বিকালে বেলার দিকে ওয়েবসাইট চেক করলে অবশেষে ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য প্রদর্শন করে।”
হেল্পলাইনে কল দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,“আমি রেজাল্ট ও বোর্ডের সমস্যা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগে ও পরে ওয়েবসাইটের হটলাইনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও কর্তৃপক্ষের সাড়া পাইনি।”
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নাম্বার ৮০ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জিপিএর উপর ২০ নাম্বার গণনা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।
যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীর জিপিএ ভুল দেখায়, তাহলে নিয়মানুযায়ী জিপিএর উপরও বরাদ্দকৃত ২০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যথাযথ নাম্বার পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুম বলেন, “টেলিটক আমাদের যে ডেটা দিচ্ছে, সেটাই আমাদের সাইটে দেখাচ্ছে। তবে আজকে রেজাল্ট প্রকাশের দিন সব টেকনিক্যাল সমাধান হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট পেতে সমস্যা হবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, “এ বিষয়ে আমি খুব একটা জড়িত নই। এসব বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ভালো বলতে পারবে।”