বাহুবলে চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

মোশাহিদুল ইসলাম নয়ন, বাহুবল
হবিগঞ্জের বাহুবলে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের পরে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জাহেদ মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- বনদক্ষিণ গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ, আবদুল মালিক, ছালিক মিয়া, মোজাহিদ মিয়া, আমীর আলী, আলমগীর, যমুনাবাগ গ্রামের রুয়েল মিয়া, সোহেল মিয়া, কবির মিয়া, কাজল মিয়া, তাজল মিয়া, সুমন মিয়া ও জামাল মিয়া।
মামলা দায়ের পর বাহুবল মডেল থানা পুলিশ মোঃ আমির আলী (৬০) নামে একজনকে গেপ্তার করেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনদক্ষিণ এলাকার মৃত মনোয়ার আলীর পুত্র।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত রোববার (৯ মার্চ) বাহুবলের লামাতাশি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামে তাকে নির্যাতন করার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নির্যাতনের শিকার জাহেদ মিয়া (২৮) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় দর্জির কাজ করেন।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে যমুনাবাদ গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল চুরি হয়। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে শহীদুল মিয়াকে (৩০) আটক করে বেধড়ক পেটানো হয়। তাকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনদক্ষিণ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়ার নাম বলেন।উত্তেজিত লোকজন কটিয়াদি বাজার থেকে জাহেদকে ধরে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনের টাকা দেওয়ার শর্তে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। জাহেদ মিয়ার দাবী মূলত পূর্ব শত্রুতার জেরেই আমার ওপর এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে।