জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার করা হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

দৈনিকসিলেটডেস্ক
নতুন বাংলাদেশ গড়তে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে জনগণের আস্থা ফেরাতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।
ড. ইউনূস বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি বিএফএ-তে ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে আলোচনা করি। কিন্তু আজ আমি ভিন্ন এক ভঙ্গিতে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। এমন একটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, যে বাংলাদেশ গত বছরের জুলাই-আগস্টে ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখেছে বিশ্ববাসী। তরুণ সমাজ ও নাগরিকরা বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে নতুনভাবে নির্ধারণে ব্যতিক্রমী সংকল্প ও শক্তি দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংস্কারের জন্য স্বাধীন কমিশন চালু করা হয়েছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতির মৌলিক রূপান্তর নিয়ে আসবে।’
এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।একই সঙ্গে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বৈশ্বিক ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ুর এই প্রভাব মোকাবিলায় অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রয়োজন।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে চার দিনের সফরে চীনে যান অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টাসহ তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে একটি বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে দেশটির হাইনানের কিয়োংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ সময় চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কু দোংইউ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে অধ্যাপক ইউনূস এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনের ।
এরপর ২৯ মার্চ অধ্যাপক ড. ইউনূস পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিকেইউ) বক্তৃতা দেবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে। এ ছাড়া তিনি চীনের হাসপাতাল চেইনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে তারা যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং হাসপাতাল স্থাপনের জন্য উৎসাহিত হয়।
চার দিনের সফর শেষে আগামী ২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।