কুলাউড়ায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: থানায় মামলা দায়ের

কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় ঘটে।
খবর নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর বাজারস্ত মিলি প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে পাকা রাস্তার উপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশের জন্য মিলিত সমবেত হয়। তারা আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিবাদ স্বরূপ মিছিল করে। এ সময়ে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। ঘটনার বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম তায়েফ বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেআইনী সমাবেশ করলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি। আমরা তাদের এই অবৈধ সমাবেশের প্রতিবাদ করলে ১। ফজলুল করিম (১৮), পিতা: ফেরদৌস আলী, সাং-কাদিপুর, ২। কামাল উদ্দিন (৩২), পিতা: হাজী নায়েব উল্ল্যাহ, সাং- উত্তর বাজার, ৩। হারুনুর রশিদ (৩৪), পিতা: আং করিম, ৪। মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৩৬), ৫। মোঃ সুলতান আহমেদ (২২), সর্ব পিতা: মোঃ সাজিদ আলী, সাং- জয়পাশা, ৬। আসিফ আহমদ (৩৪), পিতা: নাসের মিয়া, সাং- পৃথিমপাশা, ৭। শাকির আহমদ (২৪), পিতা: মোহাম্মদ আব্দুল মোক্তাদির, সাং-জয়পাশা, ৮। মহসিন মিয়া (২৫), পিতা: জহির আলী, সাং-উত্তর বাজার, ৯। জহির মিয়া (৩৬), পিতা: মনছব উল্ল্যাহ, সাং-ডাক বাংলো, ১০। আব্দুর রহমান (৩৪), পিতা: জব্বার মিয়া, সাং-মনসুর, ১১। আশফাক মিয়া (৪৫), পিতা: মতিন মিয়া, সাং- রাউৎগাঁও, ১২। বশির মিয়া (২০), পিতা: ছমির মিয়া, সাং- জয়পাশা, ১৩। বাছির উল্ল্যা (৩৬), পিতা: লহরাজ মিয়া, সাং-মনরাজ, ১৪। কিফায়েত উল্ল্যা (৩২), পিতা: জমির মিয়া, ১৫। আব্বাস আলী (২৫), পিতা: ধনাই মিয়া, উভয় সাং-লালপুর, সহ আর ৫০ জন অজ্ঞাত, আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে এবং আমাদের উপর ককটেল সাদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করে আমাদের এলোপাতারী মারপিট করে। বিএনপি, ছাত্রদলের হামলায় আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। পরবর্তীতে আমরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছালেক বলেন ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।