বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলায় এলাকায় উত্তেজনা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমেদ এর উপর দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালানোর পর থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।উপজেলার বিশ্বম্ভরপুর বাজারে গত শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি গেল ২৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়। আহবায়ক কমিটিতে রাজু আহমেদকে আহবায়ক করে কমিটি গঠনের পর পদ পেয়েই রাজু উপজেলার টেন্ডার, বালু, পাথর, পিআইসি, উপজেলা প্রশাসনের সকল অনিয়ম প্রতিরোধে প্রদক্ষেপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বিএনপির সুবিধাভোগীরা আরও বেশী ক্ষেপে উঠে। এর ফলে গত ৫ এপ্রিল আহ্বায়ক রাজু আহমেদ একটি গ্রামে মিটিং ও সালিশ শেষে বিশ্বম্ভরপুর বাজারে আসেন৷ এসময় হামলা চালায় দলের চিহ্নিত ও পদদারী কিছু নেতাকর্মীরা। এসময় বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীগন তাদের বাধা দিলে কোনো পথ না পেয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমদ অভিযোগ করে জানান, অনিয়ম, চোরাচালানের বিরুদ্ধে কথা বলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য এডভোকেট ছবাব মিয়া, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য শফিক, আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল হাইর প্ররোচনায় উপজেলা যুবদলে যুগ্ম আহবায়ক আরিফ রব্বানী হিমেল, যুবদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল নেতা গোলাপ মিয়া, আকরাম হোসেন, আবু তালেব, সুহাঙ্গীর মেম্বার, কয়েছ আহমদ, তারেক আহমদ, কালাম মেম্বার, জহিরুল, নুর আলম সহ অজ্ঞাত কিছু উগ্রবাদী সদস্যরা আমিসহ আমার সাথে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালালে স্থানীয় জনতার প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আমি এ বিষয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্ধের কাছে লিখিতভাবে অবগত করেছি এবং নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আশা করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক উপজেলা সভাপতি ও দক্ষিন বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ছবাব মিয়া জানান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমদ এর উপর হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগ ভিত্তিহীন তার উপর হামলার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ ছাড়াও রাজু বিগত ১৫/১৬ বছর আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে নি। সে কারনে তাকে উপজেলা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা আহবায়ক হিসাবে মেনে নিতে পারছে না।
বিশ্বম্ভরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান জানিয়েছেন এই বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাই নি।