সাবেক এমপি হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে (দক্ষিণ সুরমা সিআর ১৫৩/২৫ইং) মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দক্ষিণ সুরমা থানার ঝালোপাড়া স্বপ্ননীড় ৮৫/এ নং বাসার বাসিন্দা ইছহাক মিয়ার ছেলে শাহিন আহমদ বাদি হয়ে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে এ মামলা দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ছগির আহমদ মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ১৯ জুন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মো. ফয়ছল আহমদ।
মামলার এজাহার নামীয়রা হলেন, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, ২৫নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, দক্ষিন সুরমা বারখলা এলাকার মৃত শফিকুর রহমান পুত্র কাউসার রহমান, ২৫নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আশিক আহমদ, বারখলার মৃত হাজী কুটি মিয়ার ছালেহ আহমদ, একই এলাকার মনির উদ্দিনের ছেলে নাঈম আহমদ, নবীগঞ্জ থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুমান আহমদ, বারখলার মৃত হাজী কুটি মিয়ার ছেলে অলিউর রহমান মালেক, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মর্তুজ আলী, সিলেট মহানগর যুবলীগ ক্যাডার মোঃ আব্দুলাহ উরফে রাইফেল খালেদ, মহিলালীগ নেত্রী শ্যামলি আক্তার, আব্দুর রাহিম, পারবেছ আহমদ, মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার, সিজিল আহমদ, আনহার হোসেন রুশন, ইমতিয়াজ হোসাইন ওয়াহিদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনোয়ার মিয়া, গিয়াস মেম্বার, ছাব্বির আহমদ শাকিল, সুমন আহমদ, হাবিবুর রহমান, রফিক আহমদ, সুহেল আহমদ, সাহেদ আহমদ, নজরুল ইসলাম, ইজাজুর রহমান কাফি, রাসেল আহমদ, এস.এম আলী আহমদ, কাজী আফসর উদ্দীন, ফারুক আহমদ, রাব্বি আহমদ, শেখ মনসুর, মাসুক মিয়া উরফে কালা মাসুক, মোজাক্কির আলী মুরাদ, রেজাউল ইসলাম ফারুক, সেলিম আহমদ, আফজাল হোসেন, জাকের আহমদ, সোহেল মিয়া, সৈয়দ জয়নুল হক, মানিক মিয়া, রিমন মিয়া, আলমাছ মিয়া, সাব্বির আহমদ, জুনেদ আহমদ, শাহেদ আহমদ, নাহিদ আহমদ লালই, শাহ অলিউর রহমান অলিদ, অপু আহমদ, জুনেদ আহমদ, রাকিব আলী টিপুল, তারেক আহমদ, মামুন উরফে কালা মামুন, ইসতিয়াক মাহদি, মুর্শেদ আহমদ রাহিম, রায়হান হোসেন, মোমিনুল ইসলাম মাসুম, গোলাম আযম রাজন, আব্দুল হাফিজ জায়গিরদার, মোঃ হোসেন আহমদ, সন্তোষ চন্দ্র দাস, মোঃ নাজমুল হক, ফরিদ উরফে ফরিক, কবির আহমদ জায়গীরদার, ৫নং আউশকান্দি যুবলীগের সভাপতি ও নবীগঞ্জের ভবানীপুর গ্রামের মৃত হিম্মত উল্লাহর ছেলে আরফান মিয়া, দক্ষিণ সুরমার ২৫নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগ নেত্রী জেসমিন আক্তার, লাখাই থানার মুড়িয়াউক গ্রামের সাহিদ মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও খোজারখলা গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে জুমাদিন, মোগলাবাজার থানার উলামালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোগলাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ধরমপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে খালেদ হাসান মিলু, সজিব উরফে কানা সজিব, সাব্বির আহমদ, আফজালুর রহমান (নাজলু), নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, আনোয়ার মিয়া, বাবুল মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, সামছুল হক, শহিদুল ইসলাম, সামছুল হক, এমরান মিয়া, ডিবিএল গ্রুপ শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল শেরপুরের এডমিট ম্যানেজার মোঃ ওমর ফারুক সহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ০১ আগস্ট ২৪ ইং তারিখ দুপুরে শাহিন আহমদ ও তার ছেলে ফাইমুল ইসলাম রিফাতসহ শতশত ছাত্র-জনতা একত্রে মিলিত হন। পরবর্তীতে মিছিল সহকারে হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর গিয়ে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পতনের একদফা দাবীর মিছিল সহকারে চৌহাট্টা পয়েন্ট শহিদ মিনারে যাওয়ার পথে সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রামদা, কিরিচ, রড, বন্দুক, শর্টগান, ইট ও ককটেল বিস্ফোরণ দিয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে লক্ষ করে গুলি করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ফাহিমের চোখে গুলি লেগে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। তখন ফাহিমকে হত্যার জন্য তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত কাটা জখম করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ফাহিমসহ অন্যান্য আহত ছাত্র-জনতাকে উদ্ধার করে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করান। ফাহিম গুরুতর আহত হওয়ার কারণে তার চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত ও সকল আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।