আজান, ইকামতের কোনো বাক্য ছুটে গেলে করণীয়

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
নির্দিষ্ট কিছু শব্দের মাধ্যমে আজান দেওয়া হয়। আজানের সময় এই শব্দগুলো বলারও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। একটির অন্যটি বলা হয়। কখনো আজান বা ইকামতের কোন বাক্য ছুটে গেলে করণীয় বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো—
আজান বা ইকামতের কোন বাক্য ছুটে গেলে আজান বা ইকামত চলা অবস্থায় অথবা আজান বা ইকামত শেষ হওয়ার পরক্ষণেই যদি স্মরণ হয়, তাহলে ছুটে যাওয়া বাক্য থেকে অবশিষ্ট বাক্যগুলো পুনরায় বলতে হবে।
আর আজান বা ইকামত শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্মরণ না হয়ে কিছু বিলম্বে স্মরণ হলে আজান বা ইকামত পুনরায় শুরু থেকে দিতে পারবেন।
তবে ছুটে যাওয়া বাক্যটি যদি ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ হয় তাহলে তা আজানের ভেতরে কিংবা পরপর স্মরণ হলে ওই বাক্য থেকে পুনরায় আজান দেওয়া ভাল। কিন্তু যদি আজান শেষে বিলম্বে স্মরণ হয়, তবে এক্ষেত্রে পুনরায় আজান দেওয়ার দরকার নেই। বরং আগের আজানই যথেষ্ট হবে। (মাবসুতে সারাখসী ১/১৩৯)
আজানের আভিধানিক অর্থ : কোনো জিনিস সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়া। শরীয়তের পরিভাষায় আযান বলা হয়, ‘শরীয়ত কর্তৃক অনুমোদিত নির্দিষ্ট শব্দের মাধ্যমে সালাতের সময় সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান করা।’
আজানের নাম এ জন্য আজান হয়েছে, যেহেতু মুয়াজ্জিন মানুষদেরকে নামাজের সময় জানিয়ে দেন ও তার ঘোষণা প্রদান করেন। আজানের আরেক নাম হচ্ছে ‘নিদা’ অর্থাৎ আহ্বান। কারণ, মুয়াজ্জিন সাহেব লোকদেরকে ডাকেন ও তাদেরকে নামাজের দিকে আহ্বান করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَوٰةِ مِن يَوۡمِ ٱلۡجُمُعَةِ فَٱسۡعَوۡاْ إِلَىٰ ذِكۡرِ ٱللَّهِ
‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও।’ (সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত: ৯)
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَإِذَا نَادَيۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ ٱتَّخَذُوهَا هُزُوٗا وَلَعِبٗاۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡقِلُونَ
‘আর যখন তোমরা সালাতের দিকে ডাক, তখন তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করে। তা এই কারণে যে, তারা এমন কওম, যারা বুঝে না।’ (সুরা আল-মায়েদাহ, আয়াত : ৫৮)