হবিগঞ্জে মেধা ও যোগ্যতার জয়গান ২৯ তরুণ-তরুণীর পুলিশে চাকরি
হবিগঞ্জে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ২৯ জন তরুণ-তরুণী শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো তদবির বা ঘুষ ছাড়াই শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। আবেদন ফি: প্রার্থীদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৭৪৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই ও কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে ৩২৬ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় ৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা। সব ধাপ অতিক্রম করে ২৯ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের সংখ্যা: মেধা কোটায় ২৮ জন এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১ জন। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন টমটম চালক, চা-শ্রমিক, দিনমজুর, এতিমসহ বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা। তাদের কেউই কোনো প্রকার তদবির বা ঘুষ ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার সময় অনেক প্রার্থী খুশিতে আত্মহারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ১৫ মে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে ফলাফল ঘোষণা করে ফুলেল শুভেচছা জানান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। অনেকের অভিভাবকরা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, “স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধার ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিদের আমরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিন্দুমাত্র অনিয়ম হয়নি। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবিগঞ্জে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করে, মেধা ও যোগ্যতা থাকলে সরকারি চাকরি পাওয়া সম্ভব, কোনো তদবির বা ঘুষ ছাড়াই। পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রমাণ করে, সৎ ও নিষ্ঠাবান প্রশাসন থাকলে পরিবর্তন সম্ভব। এই উদ্যোগ দেশের অন্যান্য জেলাগুলোর জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। বাংলাদেশ পুলিশের এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ, সাহসী ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এ.এনএম সাজেদুর রহমান জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমরা স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নির্বাচন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া অন্যান্য জেলার জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।