বড়লেখায় শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগে চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) রাত ১১টায় দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের তার চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আহসান হাবিব রেদোয়ান (২৩) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মনারাই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে নিয়ে চাচা শ্বশুরের বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
স্ত্রী রুমি আক্তার বলেন, “সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে এসে রাত ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে পাশের রুমে যান। এরপর তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আমি খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এক পর্যায়ে রান্নাঘরে প্রবেশ করি, তখন দেখি রান্নাঘরের মধ্যখানের এঙেলের সঙ্গে একটি ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। তখন আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।” তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটিছে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি রুমি।
স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর আগে আহসান হাবিব রেদোয়ানের সাথে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। আহসান হাবিব রেদোয়ান স্ত্রীসহ চার মাস ধরে চাচা শ্বশুরের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে এবং সন্ধ্যার আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরপর সন্ধ্যার পর দুজন আলাদা ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি রান্নাঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পাশের একটি রুম (রান্না ঘর) থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বড়লেখা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং বড়লেখা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।”
বড়লেখা থানার এসআই মো. আব্দুর রউফ জানান “আমরা খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”