চুনারুঘাট সীমান্তে ২২ জনকে পুশইন
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রেমা বিওপির আওতাধীন ডেবরাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫৫ ব্যাটালিয়নের টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৯ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং ৫ জন শিশুকে আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার মৃত ওসমান মিয়ার পুত্র জোহর আলী (৮০) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০), তাদের ছেলে মোঃ আরিফ (১৯) ও মোঃ আসাদুল (৩০); একই উপজেলার মন্ডলগড়া এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে মোঃ আশরাফুল (৩৫), তার স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা (৩০), মেয়ে মোছাঃ কাকলী (১০) ও মোছাঃ আশরাফী (৬); কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার স্বাধীর গ্রামের মৃত নবাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ আফরোজা (২৪); ফুলবাড়িয়া উপজেলার মৃত শাহনবী এলাকার মোঃ আঃ হামিদ (৪২), তার স্ত্রী মোছাঃ রেহানা বেগম (৪০), ছেলে মোঃ সুজন (২২), মেয়ে মোছাঃ হাসি খাতুন (১৮); একই এলাকার মোঃ সুজন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ পারভীন বেগম (২১), আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ শাহিনুর (৩), মোঃ হাসানুর (৭); ফুলবাড়িয়া উপজেলার মৃত স্বরেশ আলীর পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম (৫০), তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৪৭), পুত্র মোঃ ইমরান হোসেন, ইমরান হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা (২০) এবং তাদের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন (২)। বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আটককৃতদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার মাত্র তিন দিন আগে, গত ২৬ মে, একই উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, এই ধরনের পুশ-ইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। বিএসএফের এমন আচরণ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা তৎপর রয়েছে। তবে, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে আরও কার্যকর যোগাযোগ এবং সমন্বয় প্রয়োজন।