যাদুকাটা নদীতে জব্দ করা অবৈধ বালু ভর্তি ভল্কহেড উধাও
ইজারাবিহীন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে বালু ভর্তি একটি ভল্কহেড নৌকা জব্দ করে দুজনের জিম্মায় রাখা হয়। সেই ভল্কহেড ও বালু মালিক তা নিয়ে গেছে জানে না প্রশাসন ও দায়িত্বে থাকা লোকজন। এঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার (২৬ মে) উপজেলার লাউড়েরগড় এলাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম, তহশিলদার জহির আহমেদ, পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস ফয়েজ উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিততে লাউড়েরগড় এলাকা থেকে অবৈধ বালু ভর্তি ভল্কহেড জব্দ করে। পরে সেই বালু ভর্তি ভল্কহেড নৌকাটি গত বুধবার রাতে নিয়ে যায় নৌকা ও বালুর মালিক গন একাধিক সুত্রে জানা গেছে। কিন্তু কিভাবে দুজনের জিম্মায় থাকা অবস্থায় বালু ভর্তি ভল্কহেড প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বা কোন কাগজ ছাড়া জব্দ করা অবৈধ বালু ভর্তি ভল্কহেড নিয়ে গেল এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তুলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার সচেতন মহল বলছেন, জব্দ করা বালু ভর্তি ভল্কহেড নৌকাটি এমনিতেই নিয়ে গেছে তা বলা যায় না। কারন দুজনের জিম্মার রাখা ছিল। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও এর দায় এড়াতে পারেন না। এখানে অবৈধ বালু ভর্তি ভল্কহেড নিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রশাসনের হাত রয়েছে। না হলে জব্দ করা অবৈধ বালু ভর্তি ভল্কহেড নিয়ে যাওয়ার সাহস করতো না কেউ, সে যতবড় শক্তিশালী হউক।
স্থানীয় এলাকাবাসী, বালু শ্রমিক ও ব্যবসায়ীগন বলেন,অ ভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু সহ ভল্কহেড নৌকাটি জব্দ করলো, সেই জব্দ বালুসহ ভল্কহেড নিয়ে গেলে জিম্মাদাররা কি করলো। তাহলে কি প্রশাসনের যোগসাজশে এমন অনিয়ম হল নাকি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এমন অপরাধ করলো। এখনেই এদের আইনের আওতায় আনা না হলে বুঝা যাবে প্রশাসন এর সাথে জড়িত।
অবৈধভাবে বালু ভর্তি ভল্কহেড নৌকাটি জিম্মায় থাকা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদসয় ফয়েজ উদ্দিন জানান, কে জানি নিয়ে গেছে তবে যে নিয়ে গেছে তার খোঁজ পেয়েছি। ইউএন স্যারকে জানিয়েছি।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের তহশিলদার জহির আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমিও শুনেছি ভল্কহেড নৌকাটি কে জানি নিয়ে গেছে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন কয়েকজন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, অবৈধভাবে বালু ভর্তি করা ভল্কহেড কেউ নিয়ে যাওয়ার কথা না। যাদের জিম্মার দেয়া হয়েছে তাদের কাছে থাকার কথা।