টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন!
হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বরবটি করলাসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টি ও মাঝারি বাতাসে মরিছ ও চাল কুমড়া গাছগুলো হেলে পড়ে। সেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।
গত বেশ কয়েকদিন থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে এ উপজেলার বরবটি এবং করলা ক্ষেতে পানি জমেছে। এতে জমিতে থাকা এসব ফসলে পচন ধরবে বলে ধারণা করছেন চাষিরা।
এদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসল বাঁচাতে আশা ছাড়েননি কৃষকরা। তাদের ফসল বাঁচিয়ে রাখতে ক্ষেত থেকে পানি অপসারণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে উপজেলার শত শত কৃষকেরা বর্তমান দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন ) ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে এ উপজেলার বিভিন্ন ফসলি জমিতে বরবটি, করলা সহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে। হঠাৎ প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে অনেকটা দিশেহারা হয়ে গেছে উপজেলার কৃষকরা। টানা বৃষ্টি কারণে এসব ফসল পানির নিচে ডুবিয়ে গেছে। আর মাঝারি হাওয়ার কারণে মরিছ এবং চাল কুমড়ার গাছগুলো হেলে পড়ে।পানিতে ভেসে গেছে মরিচ, বরবপটি, চাল কুমড়া গাছগুলো। চাষিরা উঠতি ফসল ঘরে তুলতে না পারার শঙ্কায় চরম হতাশা ও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ কৃষক জুনায়েদ আহমদ বলেন, টানা ভারী বৃষ্টি ও মাঝারি বাতাসে চাল কুমড়া, করলা বরবটিসহ অন্যান্য শাক সবজি পানিতে ডুবে যাওয়ায় তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, কৃষি পেশার সাথে আমি পাচঁ বছর যাবত জড়িত কিন্তু এখন পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনদিন কোন অনুদান দান বা সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শিবলু মিয়া জানান, ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তার করলা,মরিচ সহ অন্যান্য খেত এখন পানির নিচে। তিনি ও অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন। তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগীতা কামনা করছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমী সবজির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য আমাদের একটি টিম কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পূর্ণবাসনে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আশা করি কৃষকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।