বানিয়াচংয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছেন। এতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষে চলে।
রোববার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বাতাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ও কাগাপাশা ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই রুপক দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাতাকান্দি গ্রামের উসমান মিয়া ও একই গ্রামের হারুন মিয়ার লোকজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আজকের এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। এর মধ্যে হারুন মিয়ার পক্ষের মৃত আব্দু রশীদ মিয়ার পুত্র হযরত আলী (৫৫) টেটাবৃদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে নৌকা যোগে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় এবং কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মস্ত মিয়া জানান, সংঘর্ষের পূর্বে বিকেলে বাতাকান্দী নতুন হাটিতে উসমান মিয়ার চাচা রহিম মিয়া ও হযরত আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রহিম মিয়ার স্বজনরা হযরত আলীকে হামলা চালায়। এ সময় হারুনের চাচা তাহের মিয়া হযরত আলীকে বাঁচাতে গেলে তার উপরও হামলা চালায় উসমান মিয়ার লোকজন। এরপর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে তাদের পক্ষের ২৫/৩০জনের মতো আহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক এর মতো আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
আহতদের মধ্যে অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে বিট পুলিশের(আইসি) এসআই রুপক দাস জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কাগাপাশা ইউনিয়নের বগী গ্রামে উছমান মিয়ার নানার বাড়ি থেকে উসমান মিয়াকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা সংঘর্ষে নিহত একজন ও উসমান মিয়া আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নিহতের ঘটনায় কোন অভিযোগ দায়ের এখনোও হয় নাই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।