উৎমাছড়ায় পর্যটকদের যেতে বাধা, ভিডিও ভাইরাল
সিলেটে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন স্থানীয়রা। রোববার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চরারবাজার এলাকার ‘উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের বাধা দেওয়ার এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার।
ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় পরিচয়ে কয়েকজন বেড়াতে আসা পর্যটকদের চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এ সময় পর্যটকদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করা ও অশ্লীলতা না করার কথা বলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের উৎমা ছড়ায় ঈদের ছুটিতে অনেকে বেড়াতে যান। পাথরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নিরিবিলি পরিবেশের কারণে উৎমাছড়াকে বেছে নেন অনেক পর্যটক। গত রোববার বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের উপর হঠাৎ করে ‘ফরমান’ জারি করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুব জমিয়তের সহসভাপতি মুফতি রুহুল আমিন সিরাজী। দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি সেখানে যান। তিনি বলেন, উৎমাছড়া কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়। কেউ ছবি আপলোড করবেন না। আরেকজন এসময় বলেন, এলাকার মুরব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে এখানে কেউ না আসে। আমরা সম্মানের সাথে বলছি-আপনারা এখানে আসবেন না।
এ বিষয়ে রুহুল আমিন সিরাজী বলেন, কিছু মানুষ এলাকায় গিয়ে মদপান ও অশ্লীল কার্যক্রম করছেন। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় আলেম-ওলামা ও মুরব্বি–যুবকদের নিয়ে ঈদের আগে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা উৎমাছড়ায় গিয়ে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখাও করেছেন নিষেধাজ্ঞা প্রদানকারী সংগঠন ছাত্র ও যুব জমিয়তের নেতাকর্মীরা।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উৎমাছড়ায় সরেজমিন যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার। তিনি সমকালকে জানিয়েছেন উৎমাছড়ায় পর্যটক গেলে স্থানীয়দের সমস্যা কোথায় এবং কেন তারা নিষেধ দিচ্ছেন তা জানতে সেখানে গিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলবেন।
উত্তর রণিখাই ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান জানান, এলাকাটি সুন্দর হলেও সরকারিভাবে সেটি কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়। অনেকে বেড়াতে আসেন। রোববার যারা এসেছিলেন তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছেন যুবকরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলার প্রশাসনের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন।