যে ৪ শ্রেণির মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গ্রহণ করা যাবে না
যাপিত জীবনে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ—যা মহান আল্লাহ তাআলার অপার নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। আর বন্ধু নির্বাচনে আছে ইসলামের শক্ত নীতিমালা। ইসলামের দৃষ্টিতে যাকে-তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বরং বন্ধু সে হবে—যে কল্যাণকর কাজের সহযোগী হবে এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে সহযোগিতা করবে।
কোরআন-হাদিসে এমন চার শ্রেণির কথা উল্লেখ আছে, যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সঠিক নয়—
১. কাফির
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ যেন মোমিনদের ছেড়ে কাফিরদের (নিজেদের) মিত্র না বানায়। যে এমন করবে—আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তাদের (জুলুম) থেকে বাঁচার জন্য যদি আত্মরক্ষামূলক কোনো পন্থা অবলম্বন করে, সেটা ভিন্ন কথা।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৮)
২. জালিম বা অত্যাচারী
পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের শুধু তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন—যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, তোমাদের তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদের বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে তারাই জালেম।’ (সুরা মুমতাহিনা: ৯)
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবে জানার পরও তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য তার সঙ্গে চলে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল।’ (তবরানি: ১/৩২)
৩. ফাসেক
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে—যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বসো। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদের অনুতপ্ত হতে হবে।’ (সুরা হুজরাত: ৬)
৪. বিদআতি
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিদআতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল—সে যেন ইসলাম ধ্বংস করার কাজে সাহায্য করল’। (তবরানি: ৭৬৭২) তাই আসুন, আমরা যাপিত জীবনে এ চার শ্রেণির সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জড়ানো থেকে নিজেকে দূরে রাখি।