জামালগঞ্জে মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার হয়েছেন এক মৎস্যচাষি। দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে পুকুরের সব মাছ মারা গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং অন্যান্য মৎস্যচাষিরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকেই কেউ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে। তাঁরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৎস্যচাষি মো. ফজরুল ও উত্তর ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মো. কালা মিয়া যৌথভাবে মৎস্য চাষের আশায় চলতি বছরের শুরুতে ২ বছরের জন্য রহিমাপুর গ্রামে ৩ লক্ষ নব্বই হাজার টাকা দিয়ে একটি পুকুর ভাড়া নেন। পরে ওই পুকুরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার পোনামাছ চাষ করা হয়৷ এরপর থেকেই মাছগুলোর খাবার ও পাহারাদারসহ রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করেন তারা। গত রবিবার গভীর রাতে পুকুরের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার আলী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম ভাঙ্গলে পুকুর পাড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি দেখতে পান। একটু কাছে গিয়ে তারা পরিচয় জানতে চাইলে দৌড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা। পরদিন সকালে আনোয়ার আলী ঘুৃম থেকে উঠে পুকুরে গিয়ে দেখেন সব মাছ মরে পানির উপর ভেসে উঠেছে। এসময় ঈদুর মারার বিষ পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পুকুরে ভাসছে দেখতে পান।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত অভিযোগকারী মো. ফজরুল জানান, আমাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যারাই এধরণের জগণ্যতম কাজ করেছে এটি তদন্ত করে তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আওতায় দেখতে চাই।
পুকুরে আরেক অংশীদার ক্ষতিগ্রস্ত মো. কালা মিয়া জানান, আমার সারা জীবনের মাছ ব্যবসা করে যা আয় করেছিলাম৷ তার সবটুকু দিয়েই এই পুকুরে মাছ চাষ করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল পুকুরটি নিয়ে। কিন্তু বিষ প্রয়োগে আমাদেরকে একেবারে অর্থনৈতিক ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আমি স্টেশনে উপস্থিত ছিলাম না। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। মামলা নাম্বার ৭।