শাবিতে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সহপাঠীর হাতে এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে মামলার তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন সিকদার। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ শামসুল হাবিব জানিয়েছেন, আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় কোনো জবানবন্দি দেয়নি। আদালত খোলার পর তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী শুক্রবার (২০ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। পরে তার অজান্তে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করা হয়।
মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(৩) ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারায় শান্ত তারা আদনানকে প্রধান আসামি এবং স্বাগত দাস পার্থকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।