সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশে শহীদ জিয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন: খন্দকার মুক্তাদির
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সুরুচিসম্পন্ন ইসলামী এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে ধারণ এবং লালনকারী রাষ্ট্রপ্রধান। সংস্কৃতি হলো মানুষের জ্ঞান, আচার-আচরণ, বিশ্বাস, রীতিনীতি, নীতিবোধ, চিরাচরিত প্রথা, সমষ্টিগত মনোভাব, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং অর্জিত সুকুমার বৃত্তি ও কীর্তিকর্মের সমষ্টি। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেন সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি জাতির মনন ও রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি বিদেশী অপসংস্কৃতির রুখতে এবং দেশীয় সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে নগরীর দরগাহ গেইটস্থ শহীদ সোলেমান হলে কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ‘৩০ মে’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা প্রবাহিত করতে তরুণ প্রজন্মকে শহীদ জিয়ার জীবনদর্শন ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে ধারণা দিতে বিভিন্ন স্মারক প্রকাশনার বিকল্প নেই। দেশের সাহিত্যাঙ্গনে জাতীয়তাবাদী লেখিয়ে বন্ধুদের বিচরণ বৃদ্ধি করতে হবে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি পরিচালনার জন্য ১৯৭৮ সালের ৬ জুন জিয়াউর রহমান ‘দি বাংলা একাডেমি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮’ অধ্যাদেশ জারি করেন যা এখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জিয়াউর রহমান প্রথম শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘একুশে পদক’ ও ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রবর্তন করেন।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেট এর সভাপতি সাজন আহমদ সাজুরর সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. খালিদুর রহমান, শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মোঃ আতিকুল হক, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল, ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা.আব্দুল মজিদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী,অধ্যাপক বাছিত ইবনে হাবিব, মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, কবি ছয়ফুল আলম পারুল,কবি নাজমুল আনসারী, কলামিস্ট মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ ও কবি শফিকুল ইসলাম সোহাগ।
উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মতিউল বারী চৌধুরী খুরশেদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, মহানগর প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার এমজেএইচ জামিল, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, কৃষিবিদ জামিল আহমদ, বিএনপি নেতা শেখ লিমনুজ্জামান লিমন, মইনুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আবুদল্লাহ শফি সাহেদ, সাইদ মাহমুদ ওয়াদুদ, মুহিবুর রহমান মুহিব, মশিউর রহমান সায়েম, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, তসির আলী, সৈয়দ রাজন আহমদ, আলী আকবর রাজন, মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জুনায়েদ, কবি জগলুল হক, ছড়াকার ছাদির হোসেন, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, রুবেল আহমদ, কবি হামিদা আব্বাসী, কবি রিপন মিয়া, কবি ফাতেহা বেগম, কবি কামাল আহমদ, কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু ও গীতিকার বাহার উদ্দিন বাহার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন কবি মাজহারুল ইসমান মেনন।