বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ০৫নং ওয়ার্ডের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা মাহদী হাসান মিছবার পিতা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। গত ০৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫টার দিকে নাছিমা রেস্টুরেন্ট খাজাঞ্চী ষ্টেশন মসজিদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ০৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি-জামাতের ক্যাডার বাহিনীরা একযোগে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ নেতা মাহদী হাসান মিছবার পিতা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০৯ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে সন্ত্রাসী রূপে ছাত্রলীগ নেতা মাহদী হাসান মিছবার পিতা আওয়ামী লীগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাছিমা রেস্টুরেন্ট হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন ফজলু মিয়ার ছোট ভাই ও স্ত্রী তাদের বাঁধা দিলে তারা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় ফজলু মিয়ার ছোট ভাই ছাদ মিয়া ও স্ত্রী হাসনা বেগম গুরুতর আহত হন। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার প্রতিহিংসার জেরে ফজলু মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
মাহদী হাসান মিছবার বাবা ফজলু মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর জের ধরে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে থেকে ছাত্রদল, জামায়াত শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্যাডারদের রোশানলে পড়ে আমার পরিবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার একমাত্র উপার্জনকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে ছাত্রদল, জামায়াত শিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে ও বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় আমার ছোটভাই ও স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তারা তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার স্ত্রী হাছনা বেগম, ও ছোট ভাই ছাদ মিয়া আহত হয়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ছিলো, তখন তারা চিৎকার দিয়ে বলে আমার ছেলে মাহদী হাসান মিছবাহ কোথায় তখন আমার পরিবারের লোকজন ভয়ে কথা বলতে পারে না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তর ছেলেকে যেদিন যেখানে খুঁজে পাবো হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। এঘটনায় বর্তমানে আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করিতেছি। আমি আইনশৃঙ্খলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগীতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের সরকার পতনের পর আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকজন হামলা ও ভাংচুর করেছে। এসব রোধ করতে পুলিশী চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।