শাবিপ্রবিতে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে আন্দোলনকারীরা গোলচত্বর থেকে মশাল মিছিল শুরু করে মেয়েদের হল এলাকা হয়ে নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে আসে এবং সেখান থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে সমবেত হয়।
সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমির হোসেন বলেন, “আজ আদালতে অভিযুক্তদের চোখেমুখে কোনো ভয় ছিল না, বরং আত্মবিশ্বাস ছিল। যেন তারা জানে, বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা বা আইনগত ফাঁকফোকর পেরিয়ে তারা ছাড়া পেয়ে যাবে। এ অবস্থা বিচারব্যবস্থার ওপর জনআস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশকে অবশ্যই রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে কেউ ভবিষ্যতে এমন জঘন্য অপরাধ করতে সাহস না পায়।”
আরেক শিক্ষার্থী নূর উদ্দীন রাজু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে সচেতন জায়গা। এখানে যদি ধর্ষকদের বিচার না হয়, তবে সেটা পুরো সমাজের জন্য ভয়ংকর বার্তা হবে। সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকদের ছাত্রত্ব বাতিল চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকের আস্তানা ভেঙে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
গত ২ মে নগরীর একটি ছাত্রাবাসে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ঘটনাটি ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে ১৯ জুন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ আদনান ও পার্থকে গ্রেপ্তার করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০ জুন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, “তদন্ত রিপোর্ট সিন্ডিকেটে জমা দেওয়া হয়েছে, আগামীকাল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”