মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ২৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্ত দিয়ে ছয়জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ তথ্য জানান শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, বুধবার (২৫ জুন) রাতের কোনো এক সময়ে তাদের পুশইন করে চলে যায় বিএসএফ। শ্রীমঙ্গল সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, নয়জন নারী ও চার শিশু রয়েছে। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে এসব লোকজনকে কাকমারা সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পাওয়া যায়। এতে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ ফোন দেন। ফোন পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক এবং বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন সময়ে জীবিকার সন্ধানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন।
আমিনুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন তারা ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। ভারতে নির্মাণশ্রমিকদের ভালো বেতন মেলে, এমন কথা শুনে দালালের মাধ্যমে নদীয়ার বহরমপুর এলাকায় যান। প্রায় তিন বছর কাজ করার পর হঠাৎ পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর জেলে ছিলেন। গত বুধবার রাতে বিএসএফ তাদের একটি ট্রাকে করে সীমান্তে এনে নামিয়ে দেয়। তাদের নাম–ঠিকানা যাচাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের কাকমারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৯ জন। তারা ওই এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এলাকাবাসী বিষয়টি দেখে স্থানীয় পুলিশে খবর দিলে তাদের আটক করে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ জানায়, ১৯ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, নয়জন নারী ও চার শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি শরীয়তপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায়।
অপরদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে আরও ছয়জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ বলে জানিয়েছে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া।