কান্নায় ভেঙে পড়লেন পগবা
কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের দিনে ফুটবলাদের বেশ হাসিখুশিই দেখা যায়। চুক্তি সইয়ের মুহূর্তে পরিবার বা প্রিয়জন পাশে থাকলে খুশির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু পল পগবা ব্যতিক্রম এক দৃশ্যের জন্ম দিলেন।
ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–এর ক্লাব এএস মোনাকো গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পগবার চুক্তি সইয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওর আবহসংগীতে বাজছে বেদনাবিধুর এক গান। কারণ, পগবা যে চুক্তি সইয়ের সময় অঝোরে কেঁদেছেন!
ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারের দুচোখ বেয়ে পানি পড়েছে টেবিলেও। কিছুক্ষণ হাত দিয়ে মুখও ঢেকে ছিলেন। তা দেখে পাশে থাকা দুই ব্যক্তি পিঠ চাপড়ে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করে গেছেন। খুব সম্ভবত তাঁদের একজন পগবার আপন কেউ, অন্যজন এএস মোনাকোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ভিডিওর ক্যাপশনে এএস মোনাকো লিখেছে, ‘পল পগবার জন্য এটি এক আবেগঘন মুহূর্ত।’
পগবা কেন এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়লেন, তা অনেকেই হয়তো উপলব্ধি করতে পারছেন। ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার আবার পেশাদার ফুটবলে ফিরতে পারবেন, তা কয়জন ভেবেছিলেন!
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সব ধরনের ফুটবল থেক সাময়িক নিষিদ্ধ হন পল পগবা। সে সময় তিনি খেলতেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। তদন্ত শেষে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবনের সত্যতা মেলায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিলের প্রেক্ষিতে পগবার নিষেধাজ্ঞা ৪ বছর থেকে নেমে আসে ১৮ মাসে। ফলে ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু গত নভেম্বরে পারস্পরিক সমঝোতায় পগবার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জুভেন্টাস। এতে তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার আবারও অনিশ্চতার মুখে পড়ে।
শেষ পর্যন্ত এএস মোনাকো পগবাকে দুই বছরের জন্য নিজেদের করে নেওয়ায় নতুন পথচলা হলো তাঁর। এ কারণেই চুক্তি সইয়ের সময় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাস মিডফিল্ডার।
কদিন আগে ফ্রান্সের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাকারে পগবা বলেন, ‘আমি মাঠে ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।’ তাঁর ইচ্ছাটা অবশেষে পূরণ হলো।
এএস মোনাকোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পরপরই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন পগবা। ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’–তে পয়েন্ট তালিকার তিনে থেকে গত মৌসুম শেষ করেছে তাঁর নতুন ক্লাব। ফলে আগামী মৌসুমে তাঁকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও খেলতে দেখা যাবে।