কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়া নদীতে চলছে বালু লুটপাট
অবৈধভাবে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা ছড়া নদী থেকে লুট হচ্ছে বালু। ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, বিদ্যুৎ লাইন, খেলার মাঠ, গ্রামীণ রাস্তাসহ উৎমা ব্রীজ। একদিকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু লুট হচ্ছে অন্যদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের উৎমা ব্রীজের কাছে থেকে ১০০-১৫০ ঘণফুটের কাঠের ২০-২৫টি নৌকা দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে। উৎমা নদীর তীর ধরে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে গেলে অসংখ্য কাঠের নৌকা দিয়ে এরকম বালু উত্তোলনের দৃশ্য দেখা যায়। এরপর কাঠের নৌকাগুলো দুলাইন বিল নামক স্থানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা স্টীলবডির নৌকায় ও উপজেলার টুকের বাজারে নিয়ে বালু বিক্রি করে।
কাঠের নৌকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে ও রাতে তারা নৌকা দিয়ে উৎমা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। নদীতে বালুর মালিক দাবিদারকে ফুটপ্রতি ৭-১০ টাকা করে দিতে হয়। এছাড়াও একটি চাঁদাবাজ চক্র পুলিশ ম্যানেজের নামে ফুটপ্রতি ৩-৪ টাকা করে নেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফরহাদ, তৈমুছ আলী, মনির, নুর উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আলী নুর, বুদন, শফিক, আলা উদ্দিন, আছাব, মোস্তাক, নিজাম উদ্দিন, ওসমান, আনোয়ার, রুহুল, আল-আমিন, আব্দুল গনি, এনাম, রফিন মিয়া, সাইফুল, ফারুক মেম্বার, আব্দুর রহমান মেম্বার, নিলুফা, লাল মিয়া, আজগর আলী, শামসুদ্দিন, আলাউদ্দিন , রফিক, মুহিবসহ অনেকেই বালু লুটপাটের সঙ্গে জড়িত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, সংবাদ পেয়ে ইউএনও ম্যাডাম, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো নৌকা পায়নি।
পুলিশের নামে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি কেউ পুলিশের নাম ব্যবহার করে চাঁদা তুলে, তবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।