পুত্রবধু সালমা খাতুন তানিয়ার উপর শাশুড়ির হামলা, থানায় অভিযোগ দায়ের
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভার্থখলা এলাকার সালমা খাতুন তানিয়ার উপর তার শাশুড়ি মোছাঃ মিনা বেগম, নানু মিয়া, পুতুল মিয়া ও মামা শশুড় হারুন মিয়ার বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে ভার্থখলার ব্লক ডি-৪১২ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (৫ জুলাই) সালমা খাতুন তানিয়া দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার মৃত নজমুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ মিনা বেগম, কাইস্তরাইল এলাকার নানু মিয়া, পুতুল মিয়া, হারুন মিয়া অজ্ঞাতনামা ২ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সালাম খাতুন তানিয়া দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার ব্লক ডির ৪১২ বাসার আহমেদ হোসেন মাহিনের স্ত্রী।
অভিযোগে সালমা খাতুন তানিয়া উল্লেখ করেন, আমার স্বামী আহমেদ হোসেন মাহিনের সাথে আমার আজ থেকে ৫ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বর্তমানে আমাদের সংসারে ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমার ও আমার স্বামীর প্রেমের সম্পর্কের পর আমাদের বিবাহ হওয়ায় আমার স্বামীর মা মিনা বেগম কোনভাবেই আমাদের বিবাহ মেনে নিতে রাজি হয়নি। এর জেরে বিবাদীগণ দীর্ঘদিন থেকে আমার ও আমি স্বামী আহমেদ হোসেন মাহিনের সঙ্গে নানানভাবে খারাপ কথাবার্তা, অত্যাচার ও হেনস্থা করে আসছে। পরে বিগত ২/৩ বছর পূর্বে আমি বিবাদীগনের জ্বালাতন, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার বাড়ি সিলেট সদরের পশ্চিম পীরমহল্লায় স্বামীকে তার মায়ের কাছে রেখে সস্তানকে নিয়ে চলে যায়। তখন আমার শাশুড়ি মিনা বেগম সবসময় তার মুখে একটি কথা উচ্চারণ করে রাখে যে আমি তার ছেলের জীবন থেকে তালাকনামা দিয়ে পরে পুনরায় তার ছেলে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ করবে। আমার শ্বাশুরী মিনা বেগম তার ছেলেকে বলেন যদি কখনো তার বাড়িতে আমাকে নেয় তাহলে তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। বিগত ০৩/০৭/২০২৫ তারিখ আনুমানিক রাত ৯টায় আমার স্বামী আমাকে ও আমার ছেলেকে তার বাড়িতে নিয়ে আসলে তখন উক্ত বিবাদীগণ সম্মিলিতভাবে একজোট হয়ে চক্রান্ত করে বাড়িতে পুলিশ এনে আমার স্বামী আহমেদ হোসেন মাহিনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের কাছে দেন।
তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, পুলিশ আমার স্বামী মাহিনকে নিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি স্বামীর বসতবাড়ি দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলা সাকিনস্থ বাসা নং-৪১২, ব্লক/ডি তে যাওযার পর দেখি উক্ত বিবাদীগণ একসঙ্গে বসে পরিকল্পনা করছে তখন আমি ও আমার ছেলে রুমে প্রবেশ করা মাত্র সাথে সাথে বাসায় থাকা দেশীয় অস্ত্র দা, বটি দিয়ে আমি ও আমার ছেলেকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্য আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে আমার হাতে দা ও বটির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তারা আমার মাথায় কুপ দেওয়ার সময় আমি আমার প্রাণের রক্ষার্থে মাথা নিচু করে সরালে কপালে লেগে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হই। আমার ছেলেকে প্রাণে মারার জন্য দা দিয়ে কুপ দিলে ছেলের গালে লেগে গুরুত্বর জখম হয়। তখন তারা আমার ছেলেকে কিল, গুষি মেরে পরনের জামাকাপড় টেনে হিছড়ে ছিড়ে সমস্ত শরীরে লীলাফোলা জখম করে। তাদের আক্রমণ থেকে আমি ও আমার ছেলেকে প্রাণে বাঁচি। বিবাদীগণের মেরে ফেলার আক্রমণের পর আমার বোন মোছা উম্মে কুলছুম আমাকে ও আমার ছেলেকে নিয়ে সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আমরা চিকিৎসা গ্রহণ করি। বর্তমানে সালাম খাতুন তানিয়া তার ছেলের জান ও মালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছেন।
এঘটনায় বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বতমানে তদন্তাধীন।